মাঠের বাইরে সতীর্থদের সঙ্গে আলাপের জটিলতা মেটাতে বাংলাদেশী এই বোলারের জন্য একজন দোভাষী নিয়োগ দিয়েছে হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাঠে তো আর তাতে সমস্যা মিটছে না। কিন্তু ওয়ার্নার বললেন, সেটাও কোনো বড় সমস্যা নয়। এই যেমন, অন্য বোলাররা বল করার সময় তাদের সঙ্গে আলাপ করে ফিল্ডিং সাজান অধিনায়ক। মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে ভিন্ন, কাজটা নিজেই সারেন তিনি।
আইপিএল ওয়েবসাইটকে ওয়ার্নার বলেন, “মাঠে থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করলে আপনি বুঝবেন যে, সে এমন এক জন, যে বুঝে তাকে কি করতে হবে। সে নিজেই তার ফিল্ডিং সাজায়। কোনো ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে আমি আপত্তি করলে সে বুঝে যায় এবং এর ফলে যোগাযোগ করাটা খুব সহজ হয়ে যায়।”
এবারের আইপিএলে এ পর্যন্ত হায়দরাবাদের পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। রান কম দেওয়ার ক্ষেত্রেও অতুলনীয় তিনি। টুর্নামেন্টে কমপক্ষে ৫ উইকেট পাওয়া বোলারদের মধ্যে একমাত্র বোলার হিসেবে ওভারপ্রতি ৬ এর নিচে রান দিয়েছেন তিনি। এই কয় ম্যাচ মিলিয়ে ওভারপ্রতি ৫.৭৫ গড়ে রান দিয়ে মোট ৭ উইকেট নিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই তারকা।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া বোলারের প্রশংসায় ওয়ার্নার বলেন, “সে দারুণ প্রতিভা এবং বাংলাদেশ ও আমাদের জন্য অবশ্যই সে দারুণ এক বোলার।”
প্রতি ম্যাচে মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট একটা চিত্র দাঁড় করে ফেলেছেন ওয়ার্নার। ইনিংসের শুরুর দিকে এক ওভার করানোর পর স্লগ ওভারের জন্য রেখে দেন তাকে। তবে কখনও উইকেট দরকার পড়লে এই ধারায় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনার কথাও বললেন অধিনায়ক।
“তাকে এভাবে ব্যবহার করাটা আমার জন্য সহজ হয়ে উঠেছে। কোনো দল ভালো শুরু করলে আমরা এর কিছুটা পরিবর্তন করব, কিন্তু এভাবেই আমি তাকে ব্যবহার করব। শেষের জন্যে তাকে রাখতেই আমি চেষ্টা করি। যদি আমার মনে হয়, উইকেট প্রয়োজন তাহলে শুরুর দিকে তাকে দুই ওভার বল করাব।”