৫ উইকেটের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল দলটি। এ নিয়ে চতুর্থবার ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও কোনো দল সিরিজ জিতল।
এর আগে ২০০৩ সালে পাকিস্তানকে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-২ ব্যবধানে হারায়। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ একই ব্যবধানে হারায়। ২০০৫ সালে ভারতকে ৪-২ ব্যবধানে হারায় পাকিস্তান।
রোববার কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভারে ২৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২২ রানের মধ্যে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক, ফাফ দু প্লেসি ও রাইলি রুশো।
হাশিম আমলার সঙ্গে ১২৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। অর্ধশতকে পৌঁছে ফিরে যান আমলা (৫৯)। এরপর দ্রুত বিদায় নেন ফারহান বেহারডিন। তবে দলের ওপর তার কোনো প্রভাব পড়তে দেননি ডি ভিলিয়ার্স-ডেভিড ভিসে। বিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।
২৪তম শতক পাওয়া ডি ভিলিয়ার্স অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। তার ৯৭ বলের ইনিংসটি ১১টি চার ও একটি ছক্কা সমৃদ্ধ। ৩২ বলে অপরাজিত থাকেন ভিসে।
৪১ রানে তিন উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার রিস টপলি।
এর আগে প্রায় একাই দলকে আড়াইশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হেলস। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ১১২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় শতক পাওয়া হেলসের ১২৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ১৪টি চারে।
অন্য কোনো ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি হেলস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে বেন স্টোকসের কাছে। এছাড়া রুট করেন ২৭ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা (৩/৩৪), ভিসে (৩/৫০) ও ইমরান তাহির (৩/৫৩) তিনটি করে উইকেট নেন।