বিশ্বকাপের জন্য অবশ্য অন্য সব দলের আগেই বাংলাদেশে পা রেখেছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে হেরেছে ইংল্যান্ডের কাছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ছিল খাদের কিনারায়। শেষ ওভারে নাটকীয় রান আউটে জিতে তবেই উঠেছে নক আউট পর্বে।
সেই দলটিই টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে দিল উপমহাদেশের তিন দলকে। ফাইনালের মঞ্চে শেষ হাসি তাদেরই! ভারতকে ৫ উইকেটে হারানোর পর মাঠেই বাধনহারা উৎসবে মেতেছিল ক্যারিবিয়ান যুবারা।
সেই উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল মাইক্রোফেনের সামনেও, শিমরন হেটমায়ার যেন উড়ছিলেন আকাশে।
“খুব ভালো লাগছে, কতটা ভালো, ভাষায় সেটি প্রকাশ করতে পারব না আমি। আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু আজ আমরাই শীর্ষে! আমি খুশি, গোটা দলই উচ্ছ্বসিত।”
ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক আলাদা করে বললেন তার পেস আক্রমণ ও ম্যাচ জেতানো জুটি গড়া দুই ব্যাটসম্যানের কথা।
“টুর্নামেন্ট জুড়েই আমাদের পেসাররা দারুণ বোলিং করেছে। আজকেও উইকেটে সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। আর কিমো পল ও কিসি কার্টার এমনিতে আক্রমণাত্মক হলেও আজ নিজেদের বদলে পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে অসাধারণ ব্যাট করেছে। সব মিলিয়ে এটা দলীয় প্রচেষ্টার ফসল”।
ভারতীয় অধিনায়ক ইশান কিশান স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন হতাশ। পরাজয়ের কারণ হিসেবে তিনি বললেন পিচ, দুভার্গ্য ও আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের কথা।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা দারুণ জায়গায় বোলিং করেছে, উইকেটের সহায়তা কাজে লাগিয়েছে। উইকেট বোঝা কঠিন ছিল, আমরা বুঝতে পারছিলাম না কোন বল কতটুকু বাউন্স করবে। রিশাভ পান্তের আউট ছিল দুর্ভাগ্যজনক, কিছু ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্তও ছিল (অধিনায়কেরই এলবিডব্লিউ)। এই ব্যাপারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা কোনো জুটিও গড়তে পারিনি। না হলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।”