মরিস বীরত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার নাটকীয় জয়

টানা দুই ম্যাচে শতক করেছেন জো রুট, দুই ম্যাচেই হেরেছে ইংল্যান্ড। আগের ম্যাচে কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলার শতকে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার ক্রিস মরিসের ব্যাটিং বীরত্বে নাটকীয় জয় পেয়েছে দলটি।  

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2016, 08:09 PM
Updated : 13 Feb 2016, 08:32 AM

চতুর্থ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১ উইকেটের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-২ সমতা। আগামী রোববার কেপ টাউনে হবে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।

দশম ব্যাটসম্যান কাইল অ্যাবটের (৩*) সঙ্গে ৫২ রানের দারুণ এক জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ হার এড়ান মরিস। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে প্রায় একাই স্বাগতিকদের সিরিজ বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। ৩০ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো এই অলরাউন্ডারই ব্যবধান গড়ে দেন ম্যাচে। 

শুক্রবার জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ৪৭ ওভার ৫ বলে ২৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৭ ওভার ২ বলে ৯ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আমলাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রানের খাতাই খুলতে পারেননি আমলা। পরের সাত ব্যাটসম্যানই পৌঁছান দুই অঙ্কে। মরিস ছাড়া আর কেউ অর্ধশতক পাননি, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে ফারহান বেহারডিনের ব্যাট থেকে।

ডি কক (২১), ফাফ দু প্লেসি (৩৪), এবি ডি ভিলিয়ার্স (৩৪), ডেভিড ভিসে (২১) ফিরে যান উইকেটে থিতু হয়ে। তাই এক সময়ে ২১০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেখান থেকে প্রায় একাই দলকে জয় এনে দেন মরিস। ইংল্যান্ডের স্কোর ছোঁয়ার পর আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় তার ৬২ রানের অসাধারণ ইনিংসটি। ৩৮ বলে খেলা এই অলরাউন্ডারের ঝড়ো ইনিংসটি গড়া ৪টি ছক্কা ও ৩টি চারে।

মরিসের বিদায়ের পর চার হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ইমরান তাহির।

ইংল্যান্ডের রশিদ, রিস টপলি ও বেন স্টোকস দুটি করে উইকেট নেন। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারে জেসন রয়কে হারায় ইংল্যান্ড। তবে আলেক্স হেলসের সঙ্গে রুটের ৬৯ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে অতিথিরা। এক সময়ে দলটির স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৮৭ রান। তাহির, অ্যাবটের মারাত্মক বোলিংয়ে এরপর ২১ রান যোগ করতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।

১০৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া ইংল্যান্ডের ত্রাতা রুট। ক্রিস ওকসের (৩৩) সঙ্গে ৯৫ রানের জুটিতে দলের সংগ্রহ দুইশ’ পার করেন তিনি। সিরিজে টানা দ্বিতীয় শতক পাওয়া এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরেন ১০৯ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে।

ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক পাওয়া রুটের ১২৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ১০টি চার ও একটি ছক্কায়। শেষের দিকে ২৬ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ আড়াইশ’ পার করেন রশিদ।

৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার কাগিসো রাবাদা। লেগ স্পিনার তাহির তিন উইকেট নেন ৪৬ রানে।    

স্তন ক্যান্সার নিয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন করার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই ম্যাচে গোলাপী পোশাক পরে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।