পাকিস্তান সুপার লিগে করাচি কিংসে খেলছেন সাকিব ও বোপারা। শুক্রবার শারজাহতে লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে সাকিব ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটে, পাননি বোলিংয়ের সুযোগ। কিন্তু বোপারার অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে করাচি জিতেছে ২৭ রানে।
চার নম্বরে নেমে ৪৩ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বোপারা। এরপর স্লো মিডিয়াম পেসে ধ্বংস করে দেন লাহোরের ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে ফিরিয়ে শুরু করেছিলেন, এরপর এক এক করে শিকার করেন আরও ৫ ব্যাটসম্যানকে! শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৬ উইকেট নেওয়ার ২২তম নজির এটি। তবে ৬ উইকেটের সঙ্গে একই ম্যাচে অর্ধশত করার কৃতিত্ব ছিল বোপারার আগে মাত্র দুজনের।
প্রথমবার এমন দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু হল। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি কাপে নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে উস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৫১ বলে করেছিলেন অপরাজিত ৬৬। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার এরপর মিডিয়াম পেসে নিয়েছিলেন ২১ রানে ৬ উইকেট।
এর পরের এই কীর্তি ছিল সাকিবের। ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে সিলেটে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৭ করেছিলেন সাকিব। পরে বল হাতে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১৮ রানে।
টি-টোয়েন্টিতে সাকিব ৬ উইকেট নিয়েছেন আরও একবার। ২০১৩ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো রেড স্টিলের বিপক্ষে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ৬ রানে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেটি দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ড সমারসেটের ইংলিশ অলরাউন্ডার আরুল সুপিয়াহর, ৫ রানে ৬ উইকেট। সেরা বোলিংয়ের তালিকায় বোপারার ১৬ রানে ৬ উইকেট আছে নয় নম্বরে।