চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সবশেষ ৮ টেস্টের ৬টিতেই খেলতে পারেননি স্টেইন। যে দুটি খেলেছেন, সেই দুটিতেও পুরো বোলিং না করেই মাঠ ছেড়েছেন চোট নিয়ে। শুরুতে ছিল কুঁচকির চোট, পরে বাধিয়েছেন কাঁধের চোট। তবে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার আশা, বিশ্বকাপ তো বটেই, বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই পাওয়া যাবে স্টেইনকে।
আলবি মর্কেলের না থাকাটা খানিকটা চমকই বলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতেই গত অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু নির্বাচকেরা বেছে নিয়েছেন আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসেকে।
দলে জায়গা পাননি আলবির ছোট ভাই ফাস্ট বোলার মর্নে মর্কেলেও। তবে টেস্ট-ওয়ানডেতে দলের অন্যতম সেরা বোলার হলেও টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ সিরিজেও ছিলেন না ছোট মর্কেল।
দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার দুজন। লেগ স্পিনার ইমরান তাহির তো বরাবরই প্রথম পছন্দ। তবে সবশেষ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন আরেক লেগ স্পিনার এডি লি, তার জায়গায় ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যারন ফাঙ্গিসো। চোটের কারণে ভারত সিরিজে না থাকা ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো ফিরেছেন বিশ্বকাপ দলে, না খেলেই বাদ পড়েছেন খায়া জন্ডো।
বিশ্বকাপের সুপার টেন-এ দক্ষিণ আফ্রিকা আছে এক নম্বর গ্রুপে, যেখানে তাদের সঙ্গী সবশেষ তিন আসরের তিন চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা দল: ফাফ ডু প্লেসি (অধিনায়ক), কাইল অ্যাবট, হাশিম আমলা, ফারহান বেহারডিন, কুইন্টন ডি কক, এবি ডি ভিলিয়ার্স, জেপি ডুমিনি, ইমরান তাহির, ডেভিড মিলার, ক্রিস মরিস, অ্যারন ফাঙ্গিসো, কাগিসো রাবাদা, রাইলি রুশো, ডেল স্টেইন, ডেভিড ভিসে।