আগামী বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টপ অর্ডারের কাছে ভালো সূচনা চেয়েছেন মিজানুর।
“যেহেতু ওদের সেরা শক্তি পেস আক্রমণ। আমাদের টপ অর্ডার যদি ঠিকঠাক পারফর্ম করে, তবে মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের কাজটা সহজ হয়ে যাবে। প্রথমে ব্যাটিং করে ২৩০-২৫০ বা এর চেয়ে বেশি যদি হয়, ভালো একটা কিছু আমরা করতে পারব।”
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের দুর্ভাবনা আছে কেবল টপ অর্ডার নিয়েই। প্রথম তিন ব্যাটসম্যান প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারছেন না। শুরুর মন্থর ব্যাটিং আর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে প্রায় সব ম্যাচে চাপে পড়েছে স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টপ অর্ডার নিয়ে মিজানুরকে আশা দেখাচ্ছে সর্বশেষ সিরিজ। গত জানুয়ারির সেই সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বিশ্বকাপের আগে আমরা খেলেছি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ওই সিরিজে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিল। একটা সেঞ্চুরিও করেছিল। সাইফ যদি কাল থাকে আশা করি, সে ভালো কিছু করবে।”
টপ অর্ডারের অন্য দুই ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষ ও জয়রাজ শেখের কাছ থেকেও সেরাটা চায় বাংলাদেশ।
জানুয়ারির সেই সিরিজ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আছে বাংলাদেশের, “(আলজারি) জোসেফ নামে তাদের একজন পেসার আছে। তাকে আমাদের ছেলেরা ভালো করেই চিনে। তার বোলিং সম্পর্কেও আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভালো ধারণা আছে। শুধু সে না, অন্য বোলারদের সামলানোর ব্যাপারে আমাদের ভালো প্রস্তুতি আছে।”
“দলটির মারকুটে ব্যাটসম্যান (গিডরন পোপ) আছে। সে বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে বেশি রান করতে পারেনি। আশা করি, কালও কিছু করতে পারবে না,” যোগ করেন বাংলাদেশের কোচ।