সেঞ্চুরিয়নে রেকর্ড গড়ে দ. আফ্রিকার জয়

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে সেঞ্চুরিয়নে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের চ্যালেঞ্জ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলার দারুণ দুই শতকে সহজেই বিশাল সেই লক্ষ্য ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 07:29 PM
Updated : 10 Feb 2016, 11:11 AM

৭ উইকেটের এই জয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে ২-১-এ পিছিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী শুক্রবার জোহানেসবার্গে হবে চতুর্থ ওয়ানডে।

মঙ্গলবার সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জো রুটের শতকে ৮ উইকেটে ৩১৮ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৬ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেঞ্চুরিয়নে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৪ সালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিল ব্রায়ান লারার দল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ২৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ সূচনা এনে দেন হাশিম আমলা। চলতি সিরিজে দ্বিতীয় শতক পাওয়া ডি ককের বিদায়ে ভাঙে ৩৬.৫ ওভার স্থায়ী এই জুটি।

আদিল রশিদের বলে রুটকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ডি ককের ১৩৫ রানের অসাধারণ ইনিংসটি। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ১১৭ বলের ইনিংসটি ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কা সমৃদ্ধ।

ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ইনিংসে খেলে ১০টি শতকের রেকর্ড গড়েন ডি কক। ৫৫ ইনিংসে এই কীর্তি গড়ে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলেই তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গীকে। ১০টি শতক করতে আমলার লেগেছিল ৫৭ ইনিংস।

তিন নম্বরে নামা ডেভিড ভিজে বেশিক্ষণ টিকেননি। ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে ৬২ রানের জুটিতে দলকে জয়ের একদম কাছে নিয়ে যান আমলা। ২২তম শতক পাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেন ১২৭ রানে। তার ১৩০ বলের ইনিংসটি সাজানো ১৩টি চার ও দুটি ছক্কায়।

আমলার বিদায়ের পর বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন দু প্লেসি (৩৩*)।

এর আগে আলেক্স হেলস ও রুটের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহের ভিত পায় ইংল্যান্ড। এক সময়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১৬১ রান। কাগিসো রাবাদার বলে মর্নে মর্কেলকে ক্যাচ দিয়ে হেলস (৬৫) ফিরলে ভাঙে ২০.৩ ওভার স্থায়ী ১২৫ রানের জুটি।

দ্রুত ফিরে যান জস বাটলার, ওয়েন মর্গ্যান। তবে বেন স্টোকসের সঙ্গে ৮২ রানের আরেকটি ভালো জুটিতে দলের সংগ্রহ আড়াইশ’ পার করেন সপ্তম শতক পাওয়া রুট (১২৫)। তার ১১৩ বলের ইনিংসটি গড়া ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায়।

দলের সংগ্রহ তিনশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে ফিরে যান অলরাউন্ডার স্টোকসও (৫৩)।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাইল অ্যাবট ও রাবাদা দুটি করে উইকেট নেন।