আত্মবিশ্বাস ফিরেছে জাকিরের

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মিডল অর্ডার নিয়ে বাংলাদেশের যাও একটু দুর্ভাবনা ছিল, তা মিলিয়ে গেছে জাকির হাসান রানে ফেরায়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2016, 08:37 AM
Updated : 7 Feb 2016, 08:37 AM

গত শুক্রবারের নেপাল ম্যাচ জাকিরের জন্য বড় একটা পরীক্ষা ছিল। দলকে জয় এনে দিয়ে তাতে ভালোভাবেই উতরে গেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলনের পর জাকির সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিলেন তিনি।  

“ম্যাচের আগে ৬-৭ দিন ধরে নেটে আমি খুব ভালো ব্যাট করছিলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ভালো খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছিলাম। আত্মবিশ্বাস তাই কিছুটা ফেরত পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমি পারব।”

ঠিকই পেরেছেন জাকির, অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসে রেখেছেন সামর্থ্যের প্রমাণ। সেই ইনিংসে পুরোপুরি ফিরে পেয়েছেন আত্মবিশ্বাস। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত সেদিন দ্রুত ফেরার পর দলকে পথ দেখান তিনি।

“আসলে আমাদের পরিকল্পনাই ছিল যে ডানহাতি-বাঁহাতি জুটি থাকবে উইকেটে। শান্ত আউট হলে এমনিতে আমারই নামার কথা। আমি উইকেটে গিয়ে বেশি মনোযোগী ছিলাম; আজকে দ্রুত উইকেট পড়ে গেছে, আমাকে শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে। আমার মনে হয়েছে, আমাকে ভালো খেলতেই হবে।”

অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১৭ রানের জুটিতে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন জাকির। এই জয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পৌঁছায় যুব বিশ্বকাপের শেষ চারে।

“আমাদের তখন পরিকল্পনা ছিল যে, আগে দেড়শ’ রান পর্যন্ত করব। তারপর পরিস্থিতি বুঝে এগোবো। মাঠ অনেক বড় ছিল, প্রতি ওভারেই চার-পাঁচ করে আসছিল। বড় শট খেলার দরকারই ছিল না। ওদের থ্রোয়িং আর্ম বেশি শক্তিশালী ছিল না। দুই রান নিতে গিয়ে কোনো ঝুঁকি ছিল না, সহজেই আসছিল। ৪-৬ মারার দরকার ছিল না, পরিকল্পনাই ছিল ১-২ করে খেলার।

জাকিরের খেলার ধরনটাই এমন। সময় নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন, “আমি সবসময়ই এভাবে খেলি। গিয়েই শট খেলতে পারি না, আগে সেট হই। টি-টোয়েন্টি, আইপিএল, বিপিএল নিয়ে ভাবছি না। এই পর্যায়ে আছি, এটা নিয়েই ভাবছি। খেলতে খেলতে আরও শট আসবে হাতে। আরও প্র্যাকটিস করতে হবে, আরও উন্নতি করতে হবে।”

কতটা উন্নতি করতে হবে সেটাও জানা আছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জাকিরের। কিপিংয়ে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা আর ব্যাটিংয়ে মুমিনুল হককে আদর্শ মানা ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের চোখে অনেক দূর যাওয়ার স্বপ্ন।