লেগ স্পিনার সন্দিপ লামিছানের বলে ওই সহজ স্টাম্পিং মিস করেছিলেন স্বয়ং নেপাল অধিনায়কই। মিরাজের রান তখন ছিল মাত্র ২৫, বাংলাদেশর রান ১৩৪। ওই সময় মিরাজ আউট হলে ম্যাচ জেতা অনেক কঠিন হয়ে যেত বাংলাদেশের জন্যই। শেষ পর্যন্ত সেই মিরাজই দারুণ এক জুটিতে জাকির হাসানকে নিয়ে জয় এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে।
শেষ দিকে মিরাজের আরেকটি স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন রিজাল। তবে বাংলাদেশ তখন জয়ের খুব কাছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নেপাল অধিনায়ক আক্ষেপ করলেন প্রথম সুযোগটি হাতছাড়া হওয়ায়।
“অনেক বড় ভুল ছিল সেটি। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি যে বলটি আমার দিকেই আসছে। হয়ত ওই সময় আমি সতর্ক ছিলাম না! অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে ওই মিসে।”
“সহযোগী দেশ হয়েও একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে আসতে পারায় আমরা গর্বিত। এই ম্যাচ হারায় দু:খ নেই। আজ ফিল্ডিং ভালো হয়নি, ২০-৩০ রান কমও হয়ে গেছে। তবে আমরা মুষড়ে পড়িনি। ভালো একটা পর্যায়ে আসতে পেরেই আমরা খুশি।”
এই প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে-ফাইনালে উঠেছিল নেপাল। এর আগে তাদের সেরা সাফল্য ছিল ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় প্লেট চ্যাম্পিয়ন হওয়া ও ২০০২ সালে নিউ জিল্যান্ডে প্লেট রানার্সআপ হওয়া। রানার্স আপ হওয়ার পথে সেবার প্লেট সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল তারা।