যুব ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ১০ ম্যাচেই তিনটি অর্ধশতক করেছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকির। কিন্তু এরপরই লম্বা খরা। পরের ১৭ ম্যাচে একটিও ছিল না অর্ধশতক। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও রান পাননি। কিন্তু তার সামর্থ্যে আস্থা ছিল দলের। রানে না থাকলেও শুক্রবার নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্যাটিং অর্ডারে এক ধাপ প্রমোশন দিয়ে পাঁচে নামানো হয় জাকিরকে।
সেই জাকিরই শেষ পর্যন্ত দলের জয়ের অন্যতম নায়ক। অধিনায়ক মিরাজের সঙ্গে ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জিতিয়েছেন দলকে। টানা দুই চলে চার ও ছক্কায় জাকিরই শেষ করেছেন ম্যাচ। অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মিরাজ জানালেন, দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়টাতেই নিজেকে ফিরে পেয়েছেন জাকির।
“অবিশ্বাস্য খেলেছে জাকির। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে, জাকির অনেক দিন পর রানে ফিরেই খুব ভালো ইনিংস খেলেছে। দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এরকম একটা ইনিংস খেলল। দলের খুব দরকার ছিল এটা।”
“আমি যখন উইকেটে যাই, অবশ্যই একটু চাপ ছিল। কিন্তু জাকির আমাকে বলেছিল যে আমরা শুধু সিঙ্গেল খেলব, স্ট্রাইক রোটেট করব। চার-ছয়ের জন্য যাব না। ওর কথা খুব কাজে লেগেছে। আমরা দুজন মিলে একটা পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী খেলেছি।”
কোয়ার্টার-ফাইনালে এই ম্যাচ জয়ী ইনিংসটা না খেললেও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই জাকির। উইকেটের পেছনে তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি চোখে পড়ে সবসময়ই। সবসময়ই ব্যস্ত থাকেন, কথা বলেন, চিৎকার-চেচামেচি করে উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জোগান সবাইকে, চাঙা রাখেন দলকে। সব মিলিয়ে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে বলা যায় মাঠে দলের চালিকা শক্তি।
সেই জাকিরের ভেলায় চেপেই কোয়ার্টার-ফাইনালের বৈতরণী পার হলো বাংলাদেশ।