২০০৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় যুব সিরিজে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে তিন ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কদিন পর শ্রীলঙ্কায় যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে সেই ইংল্যান্ডকেই পেযেছিল বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনালে ওঠাকে তখন মনে করা হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু মুশফিক-সাকিব-তামিম-মেহরাবরা উল্টো যাচ্ছেতাই ভাবে হেরেছিলেন ইংল্যান্ডের কাছে।
সেই দলের পর এবারের দলটিকে নিয়েই বাংলাদেশের প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। গ্রুপ পর্বে টান তিন ম্যাচে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। কোয়ার্টার-ফাইনালে পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত প্রতিপক্ষ, অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেপাল। বাংলাদেশের সেমি-ফাইনাল খেলার আশা যেমন বেড়েছে, সঙ্গে থাকছে শঙ্কাও। ২০০৬ বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা তো আছেই। সঙ্গে এবার দেশের মাটিতে খেলা, লক্ষ্যের দিকে আরও এগিয়ে যাওয়া, সব মিলিয়ে তরুণদের রোমাঞ্চ ছাপিয়ে যেতে পারে ক্রিকেটকেও। তাতে হতে পারে হিতে বিপরীত।
তবে শঙ্কার কিছু দেখছেন না মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ কোচ জানালেন, ছেলেরা স্বাভাবিকই আছে।
অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও জানালেন, নির্ভার আছে গোটা দল।
“যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, সবাই প্রত্যাশা করছে, সেটা পূরণ করার লক্ষ্য থাকবেই। তবে এটা ঠিক চাপ নয়। বরং আমরা চেষ্টা করব সবার নিজের সেরাটা দেওয়ার। সেরা দেওয়ার পরও কাজ না হলে কিছু করার নেই। তবে চেষ্টায় কমতি থাকবে না। আমরা সেরাটা উজার করে দেব।”