বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৩৯ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
ব্লুমফন্টেইনে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৩৯৯ রান করে ইংল্যান্ড। মাঙ্গাউং ওভালে ওয়ানডেতে কোনো দলের সর্বোচ্চ ইনিংস এটাই। আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
জবাবে ৩৩ ওভার ৩ বলে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে ২৫০ রান করার পর বৃষ্টি নামলে সেখানেই খেলার সমাপ্তি হয়। জয়ের জন্য ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে সে সময় স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ২৯০ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হাশিম আমলাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে ডি ককের ১১০ রানের জুটি কক্ষপথে রাখে স্বাগতিকদের। ৪৪ বলে ৫৫ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে দু প্লেসি ফিরে গেলে বড় একটা ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাইলি রুশোকে বিদায় করে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কাজটা আরও কঠিন করে তুলেন মইন আলি। ৪৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার।
এই ইনিংস খেলার পথে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে ওয়ানডেতে দুই হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন ডি কক (২৩ বছর ৪৬ দিন)। তার আগে এই কৃতিত্ব ছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের (২৩ বল ১৯২ দিন)।
এর আগে শুরুটা ভালো করে ইংল্যান্ড। জ্যাসন রয় আর অ্যালেক্স হেলসের উদ্বোধনী জুটিতে ৭ ওভার ৪ বলে আসে ৬৮ রান। ৩০ বলে ৮টি চার ও একটি ছয়ে ৪৮ করে রয় ফিরে গেলে রান তোলার গতি কিছুটা কমে অতিথিদের।
দ্বিতীয় উইকেটে ১০ ওভারে ৬.২০ গড়ে ৬২ রান করেন হেলস ও জো রুট। ৪৭ বলে ৫৭ রান করে হেলস ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। ৬টি চার ও দুটি ছয়ে ইনিংসটি সাজান হেলস।
আউট হওয়ার আগে রুটের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৯৭, ওয়েন মর্গ্যানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ২৯ আর পঞ্চম উইকেটে বেন স্টোকসের সঙ্গে ৬১ রানের তিনটি জুটি গড়েন তিনি। স্টোকস করেন ৫৭ রান। ৩৮ বলের ঝড়ো ইনিংসটি ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজান তিনি।
৭৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার ক্রিস মরিস। দুটি করে উইকেট নেন মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গে ও ইমরান তাহির।
আগামী শনিবার পোর্ট এলিজাবেথে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।