নিউ জিল্যান্ডে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া

পেসারদের তোপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বড় জয় পেয়েছে নিউ জিল্যান্ড। স্বাগতিকদের তিনশ’ ছাড়ানো রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে দেড়শ’ রানও করতে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2016, 08:13 AM
Updated : 3 Feb 2016, 09:18 AM

১৫৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। আগামী শনিবার ওয়েলিংটনে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।

বুধবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩০৭ রান করে নিউ জিল্যান্ড। জবাবে ২৪ ওভার ২ বলে ১৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরির মারাত্মক বোলিংয়ে নয় ওভারে ৪১ রানে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে হারায় অতিথিরা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে আর কক্ষপথে ফিরতে পারেনি দলটি।

শন মার্শকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট শিকার শুরু করেন হেনরি। পরে স্টিভেন স্মিথ ও জর্জ বেইলিকে ফিরিয়ে দেন তিনি।

আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলার বোল্টের প্রথম শিকার ডেভিড ওয়ার্নার। নবম ওভারে জোড়া আঘাতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শকে ফেরান বোল্ট।

সপ্তম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাথু ওয়েড (৩৭) ও জেমস ফকনার (৩৬)। তাদের প্রচেষ্টা পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল।

তিনটি করে উইকেট নেন বোল্ট (৩/৩৮) ও হেনরি (৩/৪১)। মাত্র দুই বল করে অস্ট্রেলিয়ার শেষ দুই উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার।

এর আগে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে মার্টিন গাপটিলের ৭৯ রানের জুটি ভালো সূচনা এনে দেয় নিউ জিল্যান্ডকে। ফকনারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাককালাম।

শূন্য রানে ফিরে যান কেন উইলিয়ামসন। তবে এর কোনো প্রভাব দলের ওপর পড়তে দেননি গাপটিল-হেনরি নিকোলস। তৃতীয় উইকেটে ঝড়ের বেগে রান তোলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। গাপটিলের রান আউটে ভাঙে তাদের ১২.১ ওভার স্থায়ী একশ’ রানের জুটি।

সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন গাপটিল। তার ৭৬ বলের ইনিংসটি ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা সমৃদ্ধ।

২৫তম ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৮১ রান। নিউ জিল্যান্ডের পরের ব্যাটসম্যানরা এই ভালো ভিতের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। শেষের দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো স্বাগতিকরা কোনোমতে তিনশ’ পার হয়।

৩৬তম ওভারে ফেরার আগে ৬১ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন নিকোলস। তার ৬৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ৬টি চার ও একটি ছক্কায়। শেষের দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে লক্ষ্যটা তিনশ’ রানের ওপর রাখেন স্যান্টনার।

অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ, ফকনার ও জশ হেইজেলউড দুটি করে উইকেট নেন।