এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল নিউ জিল্যান্ড।
রোববার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ ওভার ৩ বলে ২৯০ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ড ইনিংসের ৩৬তম ওভারে বৃষ্টি নামলে কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ২১০/৫।
আবার খেলা শুরু হলে নিউ জিল্যান্ডের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ২৬৩ রান। দুই বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউ জিল্যান্ডের। চোট কাটিয়ে ফেরা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বিদায় নেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই। মোহাম্মদ আমিরের বলে সীমানায় মোহাম্মদ ইরফানকে ক্যাচ দেন তিনি।
১৫৯ রানের জুটিতে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন উইলিয়ামসন-গাপটিল। পরপর দুই ওভারে এই দুই জনকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের আশা জাগিয়েছিলেন অধিনায়ক আজহার আলি।
হাফিজের তালুবন্দি হওয়া গাপটিলের (৮২) ৮১ বলের ইনিংসটি গড়া ৮টি চার ও তিনটি ছক্কায়। স্টাম্পড হয়ে ফিরে যাওয়া উইলিয়ামসনের ৮৬ বলে খেলা ৮৪ রানের ইনিংসটি ৯টি চার ও তিনটি ছক্কা সমৃদ্ধ।
২৯ বলে ৩৫ রানের কার্যকর ইনিংস খেলা অ্যান্ডারসন ফিরে যেতে পারতেন আগেই। ব্যক্তিগত ১৭ রানে আম্পায়ার বিলি বাউডেনের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বেঁচে যান তিনি। ইরফানের বলে সরফরাজের গ্লাভসবন্দি হন নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার। তবে পাকিস্তানের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
পরের দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে রান-বলের সমীকরণ সহজ করে ফেলেন অ্যান্ডারসন। সেই সময় তিনি ফিরে গেলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।
পাকিস্তানের আজহার ও আমির দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ২০ রানে দুই উইকেট হারানো পাকিস্তান প্রতিরোধ গড়ে বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে। বাবরের সঙ্গে ১৩৪ রানের জুটি গড়া হাফিজ খেলেন ৭৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস। তার ৬০ বলের ঝড়ো ইনিংসটি গড়া ৫টি করে ছক্কা ও চারে।
শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৬১ রানের আরেকটি ভালো জুটি উপহার দেন বাবর। ৩১ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২১৫ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে মালিকের (৩২) বিদায় দিয়ে পথ হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি।
মালিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকেননি বাবর। ৭৭ বলে ১০টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৮৩ রান করে ফিরে যান তিনি। শেষের দিকে সরফরাজ আহমেদ (৪১) ছাড়া আর কেউ ভালো করতে না পারায় সংগ্রহ আরও বড় হয়নি পাকিস্তানের।
৪৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার অ্যাডাম মিল্ন। এছাড়া ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট দুটি করে উইকেট নেন।