রংপুরের বিপক্ষে উমর আকমলকে মাঠে নামাতে মরিয়া ছিল হারের বলয়ে থাকা চিটাগং। সোমবার রাতে শারজাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলে সোমবার সকালে ঢাকায় পা রাখেন উমর। সেখান থেকে তাকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে সরাসরি মাঠে উড়িয়ে আনে চিটাগং ভাইকিংস।
খেলার ক্লান্তি আর ভ্রমণের ধকলের পর এই ম্যাচে উমর ভালো কিছু করতে পারলে সেটাই হতো বিস্ময়ের। কিন্তু অভাবনীয় কিছু করতে পারেননি আকমলদের ছোট ভাই। ৮ বলে ১ রান করে হয়েছেন আউট।
উমরকে খেলিয়ে চিটাগং একাদশের বাইরে রেখেছিল জীবন মেন্ডিস, এল্টন চিগুম্বুরা, চামারা কাপুগেদারাদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠল আকমলকে খেলানোর যৌক্তিকতা নিয়ে। কিন্তু দলের কোচ মারভান আতাপাত্তু ক্রিকেটীয় ব্যখ্যার ধারেকাছে গেলেন না।
“ম্যাচের আগে আপনি এই প্রশ্ন করলে আমি অবশ্যই বাহবা দিতাম। কেউ রান না পেলে ম্যাচ শেষে আঙুল তোলাই যায়।”
টসের ৪৫ মিনিট আগে চট্টগ্রামে এসেছেন উমর, সংবাদ সম্মেলনটাও ম্যাচের পরে। ম্যাচের আগে প্রশ্ন করার সুযোগ সংবাদ কর্মীদের থাকার প্রশ্নই ওঠে না। তাই আতাপাত্তুর সংবাদ সম্মেলনে আরও একবার উঠল এই প্রসঙ্গ। আসলেই কতটা জরুরি ছিল আকমলকে খেলানো! তার সাম্প্রতিক ফর্মও ছিল না পক্ষে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি টি-টোয়েন্টি করেছেন ১৯, ৩ ও ৪ রান!
আতাপাত্তু জানালেন, বাস্তবতা বোঝার পরও এটা ছিল তাদের মরিয়া প্রচেষ্টা।
“আমরা জানতাম যে প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জানি যে চার ঘণ্টার বিমান ভ্রমণের পর আবার হেলিকপ্টারে করে এসে খেলাটা তার জন্য সহজ হবে না। কিন্তু কিছু একটা করতেই হতো আমাদের। আমরা আশা করছিলাম, সে ভালো করতেও পারে। কিন্তু দিনটি আজ তার ছিল না।”