বিপিএলে রান-আনন্দের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম

মিরপুরের মন্থর উইকেটে একের পর এক লো-স্কোরিং ম্যাচ দর্শকদের টি-টোয়েন্টির পুরো বিনোদন জোগাতে পারেনি। তবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট দেখে সংশ্লিষ্ট সবাই আশা করছেন, চার-ছক্কায় রঙিন হবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2015, 02:06 PM
Updated : 29 Nov 2015, 02:06 PM

বিপিএলের ঢাকা পর্বে আলোচিত ছিল মিরপুরের উইকেট। আগে ব্যাট করে বিপিএলের তিন আসর মিলিয়ে সবচেয়ে কম রানের দুটি স্কোর হয়েছে এবার। দুটি ম্যাচ ছাড়া দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১১০ রানের বেশি হয়নি একবারও।

মন্থর উইকেটে শট খেলা তো বহুদূর, টি-টোয়েন্টির মেজাজের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে টিকে থাকতেই হিমশিম খেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। লো-স্কোরিং ম্যাচ জমজমাট হয় অনেক সময়ই। কিন্তু ম্যাচের পর ম্যাচ লো-স্কোরিং হওয়ায় টি-টোয়েন্টির আসল মজাটাই যেন হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

তবে আশার খবর, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ২২ গজ হাসছে ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকিয়েই। রোববার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চট্টগ্রামের ছেলে তামিম ইকবাল জানালেন, উইকেটের হালনাগাদ তথ্য।

“চট্টগ্রামে এমনিতে উইকেট যেমন থাকে, তেমনই মনে হলো। রান উঠবে বলে আশা করি। ১৮০-১৯০ হবে কিনা বলা মুশকিল, তবে ১৬০-১৭০ হওয়া উচিত নিয়মিতই।”

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই মাঠে রানের জোয়ার ছিল অনেক ম্যাচেই। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯৬ রান তাড়া করে ইংল্যান্ড তুলেছিল ১৯৩। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তো ১৯০ তাড়া করে জিতেই গিয়েছিল ইংলিশরা। বিশ্বকাপে ৯টি ইনিংসে রান উঠেছিল ১৬০-এর বেশি। দেড়শর আশেপাশে রান ছিল নিয়মিতই। এবারও উইকেটের আচরণ একই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আগের দিন রাতে চট্টগ্রাম এসে রোববার দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছেও চট্টগ্রামের উইকেটকে মনে হচ্ছে ব্যাটিং সহায়ক।

“উইকেট এখানে মনে হচ্ছে মিরপুরের থেকে অনেক আলাদা; অনেকটা ব্যাটিং সহায়ক। এখানে মনে হচ্ছে বড় রানের খেলা হবে।”

চোট কাটিয়ে রোববার এই মাঠেই ফেরার আশা করছেন রুবেল হোসেন। ফেরার ম্যাচে তার পরীক্ষা নেবে উইকেট, জানালেন সিলেট সুপার স্টার্সের এই পেসার।

“উইকেট দেখে আমার মনে হয়েছে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে।”