গত ৭ নভেম্বর পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে নারাইনের অ্যাকশন সন্দেহজনক মনে হয়েছিল আম্পায়ারদের। আনুষ্ঠানিক অভিযোগও আনেন। বিপিএল খেলতে আসার আগে গত ১৭ নভেম্বর লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন নারাইন।
রোববার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, পরীক্ষায় অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে নারাইনের অ্যাকশন। তার সব ধরনের ডেলিভারিই ১৫ ডিগ্রির অনুমোদিত সীমা ছাড়ায় বলে জানিয়েছে আইসিসি। অ্যাকশন শোধরানোর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর বোলিং করতে পারবেন না নারাইন।
নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ঘরোয়া্ লিগগুলোতেও বোলিং করতে পারবেন না নারাইন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড চাইলে নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবেন এই স্পিনার।
বিপিএলে কুমিল্লার প্রথম চারটি ম্যাচেই খেলেছেন নারাইন। উইকেট নিয়েছেন চারটি, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৫.৮০। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কুমিল্লা দল থেকে বলা হয়েছিল, অ্যাকশনের পরীক্ষায় বৈধ প্রমাণিত হবেন, এই আশাতেই দলে রাখা হয় নারাইনকে।
রোববার সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষেও খেলার কথা ছিল তার। ম্যাচের আগের দিন দলের অন্যতম সেরা অস্ত্রকে হারিয়ে বিপাকেই পড়ে গেল কুমিল্লা।