উইকেটের দোষ দেখছেন না কোহলি

ভারত সফরে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা তিন দিনের মধ্যে টেস্ট ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর উইকেট নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে উইকেটে কোনো জুজু নেই উল্লেখ করে ভারত অধিনায়ক কোহলি সমালোচনা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2015, 04:00 PM
Updated : 27 Nov 2015, 04:00 PM

মোহালিতে ভারতের স্পিনারদের দাপটে সিরিজের প্রথম টেস্টটি তিন দিনের মধ্যে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাঙ্গালোরে দ্বিতীয় টেস্টের শেষ চারদিন বৃষ্টিতে ভেসে গেলে ম্যাচটি ড্র হয়।

নাগপুরে শুক্রবার তিন দিনেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক ভারত। এই ম্যাচের দুই ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ২০টি উইকেটই নেন ভারতের স্পিনাররা। অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন একাই নেন ১২ উইকেট।  

এভাবে ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে সফরকারীদের কুপোকাত করায় কৌশলে সরব হয়ে উঠেছেন ক্রিকেট পণ্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। কোহলি অবশ্য বিষয়টি এভাবে দেখছেন না।  

১২৪ রানে জেতা ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, “এটা নিশ্চয় করে একটা চ্যালেঞ্জিং উইকেট। আমি মনে করি, পুরো বিষয়টিই নির্ভর করে আপনি কিভাবে কাজটা করলেন, তার ওপর।…কোনো অজুহাত নয়।”

নাগপুরে তৃতীয় টেস্টে দুই দলের চার ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ৪০ রানের। প্রথম ইনিংসে এই রান করেছিলেন ভারতের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুরালি বিজয়। এর পরও কোহলি তিন দিনে ৪০ উইকেটের পতনের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না।

“সিরিজ জুড়ে আপনি পাঁচ থেকে ছয়টি ভালো বল পাবেন। এ ছাড়া বাকিটা ছিল ব্যাটসম্যানদের মানসিক বাধা, অথবা তাদের বাজে শট খেলা।”

ভারতের কাছে এই সিরিজ হারের আগে গত নয় বছরে দেশের বাইরে কোনো সিরিজ হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারী দলের অধিনায়ক হাশিম আমলা মনে করেন, উইকেট এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

“উইকেট অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি যখন ২০০৮ সালে প্রথম এবং এর পর ২০১০ সালে ভারতে আসি, তখন অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিংয়ের মতো স্পিনারদের মোকাবেলা করেছি। এই ধরনের উইকেটে তাদের মোকাবেলা করতে হলে আমি কোনো রান পেতাম বলে মনে হয় না।”

অশ্বিন অবশ্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাকেই দক্ষিণ আফ্রিকার এভাবে হেরে যাওয়ার কারণ বলে মনে করেন। আর এটা প্রমাণ করতে তিনি নাগপুর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে আমলা ও ফাফ দু প্লেসির প্রতিরোধের উদাহরণ দেন।

“তারা দেখিয়েছে যে, ব্যাটিং অসম্ভব ছিল না।”

দ্বিতীয় ইনিংসে আমলা ও দু প্লেসি মিলে পঞ্চম উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েন। পুরো সিরিজে ব্যর্থ আমলা (৫ ইনিংস ৯০ রান) ১৬৭ বলে করেন ৩৯ রান। আর দু প্লেসি ৩৯ রান করেন ১৫২ বলে।

কোহলি মনে করেন, র‌্যাঙ্কিংয়ের এক বা দুই নম্বর দল হতে হলে অবশ্যই যে কোনো দলকে সব ধরনের কন্ডিশনে ভালো খেলতে হবে। বিদেশের কন্ডিশন আর উইকেট নিয়ে ভারত কখনও কোথাও কোনো অভিযোগ করেনি এবং করবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।