আইসিসিতে ‘মোড়লগিরি’র অবসান চান মনোহর

আইসিসিতে ক্ষমতাশালী তিন দেশের ‘মোড়লগিরি’র অবসান চাইছেন খোদ সংগঠনটির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতারও সমালোচনা করেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2015, 02:32 PM
Updated : 26 Nov 2015, 02:32 PM

গত বছর আইসিসির সংবিধানে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে আরও কর্তৃত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশ তিনটির জন্য আইসিসির আয়ের বড় অংশ পাওয়া নিশ্চিত করা হয়। আইসিসিতে সভাপতির ক্ষমতা খর্ব করে চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ক্ষমতা।

আইসিসিতে বড় তিন দেশের কর্তৃত্বের পরিকল্পনা মূলত এসেছিল বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের মাথা থেকে। গত জুলাইয়ে আইসিসির প্রথম চেয়ারম্যানও তিনিই হয়েছিলেন। কিন্তু আইপিএল কেলেঙ্কারির কারণে বিসিসিআইয়ের সভাপতির পদ হারান তিনি।

শ্রীনিবাসনের জায়গায় বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। তার মৃত্যুর পর জায়গাটি নেন মনোহর। বিসিসিআইর সভাপতি হওয়ার কারণে শ্রীনিবাসনকে সরিয়ে আইসিসির চেয়ারম্যানও এখন তিনিই। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এই পদে থাকবেন মনোহর।

চেয়ারম্যান হওয়ার পর মনোহর আইসিসিতে তিন দেশের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করাটা মেনে নিতে পারছেন না।

ভারতের প্রত্রিকা দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোহর বলেন, “আইসিসিতে তিনটি বড় দেশ অন্যদের উপর ছড়ি ঘোরাবে, এর সঙ্গে একমত নই আমি। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। কারণ, আমি সব সময়ই বলে এসেছি, ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়।”

পরিবর্তিত কাঠামো অনুযায়ী, আইসিসির বড় সব কমিটিতে ওই তিন দেশের প্রতিনিধি প্রধান থাকবে। মনোহর এটাকে ভুল পদ্ধতি মনে করেন।

“একটি কমিটিতে আপনার সেরা লোকটিকে পেতে হবে, হোক সে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা এমনকি কোনো সহযোগী বা সদস্য দেশ থেকে আসুক। তারা আইসিরি স্বার্থ দেখবে।”

নতুন পরিচালনা কাঠামো অনুযায়ী, বিসিসিআই সভাপতি যখন আইসিসির চেয়ারম্যান হন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান হবেন পাঁচ সদস্যের নির্বাহী কমিটির প্রধান আর ইসিবি সভাপতি আইসিসির ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান থাকবেন। আর এতে নিশ্চিত হয়, নীতিগত বড় সিদ্ধান্তগুলোয় এই তিন বোর্ডেরই নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

আইসিসির আয় ভাগাভাগির বর্তমান কাঠামোটাও মনোহরের পছন্দ নয়।

“আমি আয় ভাগাভাগির ফর্মুলার সঙ্গে এতমত নই। এটা ভালো যে, ভারত আইসিসির মোট লাভের ২২ শতাংশ পাবে। কিন্তু শুধু ক্ষমতা আছে বলে আপনি গরীবকে আরও গরীব আর ধনীকে আরও ধনী করতে পারেন না।”

এই মুহূর্তে আইসিসিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছু সংঘাত আছে বলেও জানান মনোহর। আর তিনি এগুলো সমাধান করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন। বিষয়গুলো নিয়ে এরই মধ্যে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান জাইলস ক্লার্কসহ আইসিসির আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন মনোহর। আর তারা বিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে একমত হয়েছেন বলে জানান মনোহর।