উইকেটে তখন সিলেটের শেষ ব্যাটসম্যান অজন্তা মেন্ডিস। জয়ের জন্য চাই ৭ বলে ৮ রান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে মিড উইকেটের দিকে খেলে রানের জন্য ছুটলেন মেন্ডিস, সাড়া দিলেন মুশফিকও। মাঠে অনেকেই তখন অবাক। সেই সিঙ্গেলে মহাগুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারের শুরুতে স্ট্রাইকে থাকা হলো না মুশফিকের।
শেষ ওভারের প্রথম বলে রান নিতে পারেননি মেন্ডিস, আউট হয়েছে দ্বিতীয় বলেই। সব মিলিয়ে শেষ ২ ওভারে স্ট্রাইকেই যেতে পারেননি মুশফিক।
ম্যাচ শেষে দুই দলের সংবাদ সম্মেলনেও আলোচিত প্রসঙ্গ হয়ে থাকল সেই সিঙ্গেল। মুশফিকের সতীর্থ রবি বোপারা রাখঢাক না রেখেই প্রকাশ করলেন বিস্ময়।
“আমার তো কোনোভাবেই মাথায় ঢুকছে না, ওই সিঙ্গেল আমরা কেন নিলাম! হয়ত উইকেটে থাকা দুই ব্যাটসম্যান ভেবেছে, প্রতিটি রানই তখন গুরুত্বপূর্ণ!”
পরে সাকিব জানালেন, মুশফিককে নন-স্ট্রাইকে রাখতে ওই সিঙ্গেলটি দেওয়া ছিল তাদের পরিকল্পনারই অংশ।
“আমরা আসলে চাচ্ছিলাম ওরা সিঙ্গেল নিক। আমাদের জন্য সেটাই ভালো হয়। আমরা যারা ৩০ গজ বৃত্তে ছিলাম, তারা একেবারে বৃত্তের মাথায় ছিলাম যেন সিঙ্গেল হলে হয়ে যাক। সিঙ্গেলটা নেওয়ায় ভালো হয়েছে আমাদের জন্য।”