এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে তিন-চারে ব্যাট করতে পছন্দ করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ছয়ে। লোয়ার মিডল অর্ডার থেকে থিসারা পেরেরা ও ড্যারেন স্যামি উঠে এসেছিলেন চার ও পাঁচে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব ব্যখ্যা করলেন ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলের কারণ।
“আসলে আমাদের দলীয় পরিকল্পনাই ছিল এটা। ওদের মুস্তাফিজ আছে, শেষ দিকে ওর বোলিং করার কথা। আমাদের এজন্যই পরিকল্পনা ছিল থিসারাকে আগে পাঠানো, যেন মুম্তাফিজকে আগে বোলিংয়ে আনে ওরা। আমরা সফলই ছিলাম পরিকল্পনায়।”
২০ বলে ২৭ রান করে পেরেরা শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন মুস্তাফিজের অফ কাটার উড়িয়ে মারতে গিয়ে।
“মুস্তাফিজকে মারতে গিয়ে আউট হয় থিসারা, ওকে মারা আমাদের পরিকল্পনায় ছিল না। থিসারা থাকলে শেষ ৩ ওভারে আমরা আরও রান করতে পারতাম।”
আগের দুই ম্যাচে ৬১ ও ১৯ রান করলেও এই ম্যাচে রংপুর খেলায়নি মিসবাহ-উল-হককে। সাকিব জানালেন, পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে না খেলানোও ছিল তাদের পরিকল্পনারই অংশ।
“কম্বিনেশনের কারণেই মিসবাহ খেলেনি। ওদের তিনজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, আমাদের তাই ভালো অফ স্পিনার দরকার ছিল। আমাদের ভালো দুই জন অফ স্পিনারই বিদেশি। এজন্য মিসবাহকে বসিয়ে অফ স্পিনার (সাচিত্রা সেনানায়েকে) নিতে হয়েছে।”