বিপিএলে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক, আল আমিনেরও দ্বিতীয়

দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএলে হ্যাটট্রিক করলেন আল আমিন হোসেন। মঙ্গলবার সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষে এই পেসার টানা তিন বলে উইকেট নিয়েছেন বরিশাল বুলসের হয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 03:48 PM
Updated : 24 Nov 2015, 05:00 PM

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আল আমিনের এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। আগের হ্যাটট্রিকে এমন এক কীর্তি গড়েছিলেন যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের আর কোনো বোলারের নেই। সেবার টানা চার বলে পেয়েছিলেন উইকেট! শুধু তাই নয়, সেই এক ওভারে আল আমিন পেয়েছিলেন ৫ উইকেট!

এবার এক ওভারে না পেলেও ম্যাচে ঠিকই ৫ উইকেট পেয়েছেন বরিশাল বুলসের আল আমিন। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সিলেট সুপার স্টার্সকে হারাতে মূল অবদান জাতীয় দলের এই পেসারের।

টি-টোয়েন্টিতে দুটি বা এর বেশি হ্যাটট্রিক করা চতুর্থ বোলার আল আমিন। সর্বোচ্চ তিনটি ভারতের অমিত মিশ্রের। দুটি করে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভারতের যুবরাজ সিং ও নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি।

মঙ্গলবার সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে বরিশাল বুলসের পুঁজি ছিল মাত্র ১০৮। আগুনে বোলিংয়ে এই রানকেই দুরূহ বানিয়ে তোলেন আল আমিন। নিজের প্রথম ওভারেই মুমিনুল হককে ফিরিয়ে দলকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু।

পরের ওভারেই হ্যাটট্রিক। ইংলিশ ব্যাটসম্যান রবি বোপারা ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। পরের ডেলিভারিতে ভেতর ঢোকা দারুণ এক বলে বোল্ড নুরুল হাসান।

পরের বলে স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিকুর রহিম, যাকে মনে করা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে আঁটসাঁট ব্যাটিং টেকনিকের একজন। কিন্তু আল আমিনের দুর্দান্ত ডেলিভারির জবাব ছিল না মুশফিকেরও। আবারও লেংথ থেকে ভেতরে ঢোকা বল, উড়ল বেলস। আক্ষরিক অর্থেই ভাঙল মুশফিকের মিডল স্টাম্প!

এই ম্যাচে নতুন বলে আল আমিনের সঙ্গী মোহাম্মদ সামি করেছিলেন বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক। প্রথম বিপিএলে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে টানা তিন বলে ফিরিয়েছিলেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ড্যারেন স্টিভেন্স, আফতাব আহমেদ ও রানা নাভেদ-উল-হাসানকে।

২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে এক ওভারেই ৫ উইকেট পেয়েছিলেন আল আমিন। সেবার ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট করেছিলেন মেহেদি মারুফকে। পরের বলটি ছিল উইকেটে বিরতি।

এরপর তৃতীয় বলে আউট করেন নাজিমুল হোসেন মিলনকে, পরের বলে ফেরান সোহরাওয়ার্দী শুভকে। পঞ্চম বলে নাঈম ইসলাম জুনিয়রকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।

ওভারের শেষ বলে আউট করেন নাবিল সামাদকেও। ১৭ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন সেই ম্যাচে। এবার ৩৬ রানে ৫ উইকেট।

বিপিএলে এ নিয়ে তৃতীয়বার কোনো বোলার ৫ উইকেট পেল। আগের দিনই ৫ উইকেট নিয়েছেন আল আমিনের বরিশাল সতীর্থ কেভন কুপার। প্রথম বিপিএলে হ্যাটট্রিকের পথে মোহাম্মদ সামি ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৬ রানে।