হাথুরুসিংহের ক্লাসে ইমরুল-লিটন

বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, শুভাগত হোমের ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে এই তিন ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন বাংলাদেশ কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 07:42 AM
Updated : 24 Nov 2015, 03:19 PM

জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহে আপাতত দর্শক। ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। খুব বেশি দূরে নেই এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি দেখা হয়নি বলে বিপিএলে বাড়তি মনোযোগ হাথুরুসিংহের।

টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ কোচের চোখে লেগেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তিন ক্রিকেটারের ব্যাটিং। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম থেকেই উইকেটে ছটফট করছিলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। প্রথম ওভারেই তুলে মারতে গিয়ে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ইমরুল।

ওই ওভারেই আবার দুই দফা উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে চেয়ে পারেননি লিটন। পরের ওভারেই তেড়েফুঁড়ে শট খেলেই বিলিয়ে এসেছেন উইকেট। পরে তুলে মারতে গিয়ে উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন শুভাগত হোমও।

কুমিল্লা দলের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই হাথুরুসিংহের। কিন্তু জাতীয় ক্রিকেটারদের এমন ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ভাবিয়েছে বাংলাদেশ কোচকে। পরদিনই কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফোন করে জানতে চান, এই তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বললে তাদের কোচের আপত্তি আছে কিনা। আপত্তির প্রশ্নই ছিল না কুমিল্লা কোচ ও অধিনায়কের। সোমবার দুপুরে মিরপুর স্টেডিয়ামে এসে বাংলাদেশ কোচ অনেকটা সময় কাটান তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে। কথা বলেন টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে।

কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, বাংলাদেশ কোচের উদ্যোগে তিনি খুশি।

“এসব ব্যাপারে আমি কখনোই আপত্তি করি না। এই ক্রিকেটাররা বছরের প্রায় পুরোটা সময় সময় কাটান জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে। কোচ ওদের খুব ভালো চেনেন, জানেন। কাজেই কোচের পরামর্শ শুনলে ওদের উপকারই হবে।”

ওই তিন ব্যাটসম্যানের একজন ইমরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, হাথুরুসিংহে কথা বলেছেন ব্যাটিংয়ের ধরনটা নিয়েই।

“আমরা তিনজনই তাড়াহুড়ো করেছি, এই ব্যাপারটা চোখে পড়েছে কোচের। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং মানেই সব বলে মারার প্রয়োজন নেই। আমাকে কোচ বলেছেন, তাড়াহুড়ো না করে সময় কাটাতে। আমার হাতে যেসব শট আছে, সেগুলোই খেলতে।”

বলার অপেক্ষা রাখে না, সামনের কদিনে আরও অনেককে নিয়েই কাটাছেঁড়ার উপকরণ পেয়ে যাবেন হাথুরুসিংহে।