শঙ্কা ছিল ওয়াকওভারের

সিলেট সুপার স্টার্সের দুই বিদেশি ক্রিকেটারকে ম্যাচে খেলানো নিয়ে দেখা দেওয়া অচলাবস্থায় দিনের প্রথম ম্যাচটির মাঠে না গড়ানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছে, ওয়াকওভার এড়াতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 03:58 PM
Updated : 23 Nov 2015, 04:06 PM

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটের মুখোমুখি হয় চিটাংগ ভাইকিংস। জালাল ইউনুস ও বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর তৎপরতায় প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হয়।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জালাল ইউনুস জানান, ক্রিকেটের স্বার্থের দিনের প্রথম খেলাটি দেরিতে শুরু করতে হয়েছে তাদের।

“এমনও হতে পারত, আজ কোনো দল ওয়াকওভার পেয়ে যেত। যদি সিলেট বলত, তারা দুজন (জশুয়া কব ও রবি বোপারা) খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলবে না, তাহলে তো তাদের ওয়াকওভার দিতে হত। আমরা সেটা চাইনি। ওই পরিস্থিতিটা এড়ানোর জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”

ইসিবির অনাপত্তিপত্র না থাকায় টসের আগে দেওয়া একাদশে কব ও বোপারাকে রাখেনি সিলেট। টসের পর কব-বোপারার অনাপত্তিপত্র আসে। এরপর সিলেট এই দুই জনকে একাদশে নিতে চাইলে অচলাবস্থার তৈরি হয়।

“এটা ওয়াকওভার হত, সেটা আমরা চাইনি। টুর্নামেন্টে যাতে আঁচড় না লাগে, সেটা নিশ্চিত করতেই আমরা এটা করেছি। আরও একটা কথা বলি, টুর্নামেন্টের স্বার্থে টেকনিক্যাল কমিটি নিয়মে বদল আনার অধিকার রাখে।”

এই ম্যাচে সেই অধিকার খাটাতে হয়েছে টেকনিক্যাল কমিটিকে। চলতি আসরে প্রতিটি ম্যাচে চার জনকে বিদেশি খেলোয়াড় খেলানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু সিলেট তা করেনি, খেলেছে শুধু অজন্তা মেন্ডিস ও দিলশান মুনাবিরাকে নিয়ে।

“আজকের ম্যাচটা ব্যতিক্রম ধরা হবে। আমরা সবাইকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে দিব এবং ভবিষ্যতে সবাই চারটা বিদেশি ক্রিকেটার নিয়েই খেলবে। সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি খেলোয়াড়কে আমরা নিবন্ধন করিয়ে রাখতে বলেছি।”

সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচের আগের পরিস্থিতির বর্ণনায় জালাল বলেন, “সিলেটের দুজন খেলোয়াড়ের অনাপত্তিপত্র নিয়ে ঝামেলার কারণেই মূলত দেরিটা হয়। তাদের অনাপত্তিপত্র আসে বেলা ১টা ৫৯ মিনিটে। খেলা ছিলো দুইটায়।”

মুশফিক দেরি করায় টস হয় বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে। চার মিনিট পরই ইসিবির অনাপত্তিপত্র মেলায় চার বিদেশিকে খেলার ইচ্ছার কথা জানায় সিলেট। প্রতিপক্ষের অধিনায়ক তামিম ইকবাল সায় দিলে সেটা সম্ভবও ছিল।

“ক্রিকেটের স্বার্থে টসের পরে বা প্লেয়ার তালিকা দিয়ে দেওয়ার পর, এমনকি খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পরও প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সম্মতি নিয়ে দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ থাকে। তো এই জিনিসটা ঠিক করার জন্য আমরা তামিমকে বুঝিয়েছি। সে যদি অনুমতি দেয়, তবে সিলেটের বিদেশিরা খেলতে পারে। তামিম কোনোমতেই রাজি হয়নি।

আমরা পরে সিলেটকে বলেছি, যেহেতু তোমাদের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রাজি হচ্ছে না, তোমাদের দুজন খেলোয়াড় ছাড়াই খেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত তারা রাজি হয়েছে। কিন্তু তামিম অনুমতি দেওয়ার আগেই কব-বোপারাকে মাঠে নামিয়ে সিলেট একটা ভুল করেছে। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সম্মতি তাদের দরকার ছিল। এটা তারা ভুল করেছে,” যোগ করেন জালাল ইউনুস।

তামিমের অনুমতি পাওয়ার আগেই কব-বোপারাকে নিয়ে মাঠে ফিল্ডিং সাজায় সিলেট। একাদশের বাইরের দুই জনকে ফিল্ডিংয়ে দেখে প্রশ্ন তোলেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক। তাতেই শুরু হয় অচলাবস্থার, যার সমাধান হয় আয়োজকদের নিজেদের করা নিয়ম ভেঙে।