বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে সোমবার চিটাগং ভাইকিংস ও সিলেট সুপার স্টার্সের ম্যাচে টস হয়েছে ২৫ মিনিট দেরিতে। সিলেটের দুই বিদেশি ক্রিকেটারের অনাপত্তি সংক্রান্ত জটিলতায় ম্যাচ শুরু হয় ৭০ মিনিট দেরিতে!
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে সেই সময়ের পুরো ঘটনা জানাতে দ্বিধা করেননি ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম।
“আমি সব খুলে বলছি। দেড়টায় টস হওয়ার কথা, আমাকে বলা হলো ১টা ৪০-এ হবে। কি কারণে টস করতে দেরি হচ্ছে, আমি জানতাম না। ম্যাচ রেফারিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। উনি বললেন যে, টেকনিক্যাল কমিটি ওদের কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ওদের নাকি এনওসি নিয়ে সমস্যা আছে। যেহেতু ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই আমার অপেক্ষা করতে কোনো সমস্যা ছিল না। ১.৪০-এ টস হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটা হয়েছে ১টা ৫৫ তে।”
সিলেটের তিন ইংলিশ ক্রিকেটার রবি বোপারা, জশ কব ও ওয়াইজ শাহর অনাপত্তিপত্র তখনও পায়নি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ৪ জন বিদেশি খেলানো বাধ্যতামূলক হলেও তখন সিলেটের হাতে ছিল ২ জন বিদেশি। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২ জন বিদেশি নিয়েই সিলেটকে খেলার অনুমতি দেয় বিপিএল কতৃপক্ষ। গভর্নিং কাউন্সিলের অনুরোধে রাজি হন তামিমও।
কিন্তু পরে মাঠে নেমেও আবার বেরিয়ে যান তামিম। সংবাদ সম্মেলনে ভাইকংস অধিনায়ক ব্যখ্যা দিলেন সেটির।
“জিজ্ঞেস করলাম এটা কিভাবে হলো। ওরা বললো যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটা শুনে আমি চলে আসি। কারণ আমি প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হয়ে জানতামই না! এরপর ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার ও বোর্ডের সবাই এল। অনেক ঝামেলার পর তো আমরা মাঠে নামতে রাজি হলামই।”
প্রতিপক্ষ এত অনিয়ম করার পরও মাঠে নামতে রাজি হলেন কেন, এই প্রশ্নের জবাবে তামিম জানালেন আয়োজকদের অনুরোধ রাখার কথা।
“একটা নিয়ম ছিল যে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল খেলার স্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত তাৎক্ষনিক নিতে পারবে। তারা আমাকে অনুরোধ করেছে, আমি তাই করেছি।”