খেলোয়াড়দের পেশাদারিত্বে খুশি মুশফিক

অচলাবস্থায় সিলেট সুপার স্টার্স-চিটাগং ভাইকিংস ম্যাচ মাঠে গড়াবে কি না তা নিয়েই এক সময়ে শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা পেছনে ফেলে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পরে যখন খেলা শুরু হয়, তাকে আগের পরিস্থিতির কোনো প্রভাবই পড়েনি। ক্রিকেটারদের এমন পেশাদারিত্বে খুশি সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 03:11 PM
Updated : 23 Nov 2015, 04:07 PM

টানটান উত্তেজনাময় ম্যাচে শেষ বলে সিলেটকে ১ রানে হারায় চিটাগং। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান, তিনি মনে করেন, মাঠে উপভোগ্য লড়াই হয়েছে।

“শেষ পর্যন্ত আমরা দুটি দলই সব কিছু ভুলে গিয়ে এমন ভাবে সাড়া দিয়েছি, তাতে এটা প্রমানিত হয়েছে যাই হোক না কেন মাঠের খেলায় আমরা সবাই পেশাদার। সে দিক থেকে বলব, আমরা আমাদের কাজ করেছি। আমার মনে হয়, ম্যাচটা সবাই উপভোগ করেছে; শেষ বলে গিয়ে ফল হয়েছে।”

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনাপত্তিপত্র না থাকায় একাদশে জশুয়া কব ও রবি বোপারাকে রাখেনি সিলেট। টসের পর কব-বোপারার অনাপত্তিপত্র আসে। এরপর সিলেট এই দুই জনকে একাদশে নিতে চাইলে অচলাবস্থার তৈরি হয়। তাদের ছাড়াই মুশফিকের দল খেলতে নামায় সোয়া এক ঘণ্টার অচলস্থার অবসান হয়।

সিলেটের অধিনায়ক মনে করেন, ম্যাচের আগের পরিস্থিতি খেলায় কোনো প্রভাব ফেলেনি।

শেষ বলে সিলেটের দরকার ছিল ৩ রান। মোহাম্মদ আমিরের করা সেই বলে এক রানের বেশি নিতে পারেননি মুশফিক। খুব কাছে গিয়েও হারায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ অধিনায়ক।

“কিছু কারণে আমাদের যে শক্তি নিয়ে নামার কথা ছিল সেটা করতে পারিনি। তারপরও আমাদের ছেলেরা অনেক চেষ্টা করেছে। চট্টগ্রাম অনেক শক্তিশালী দল, ব্যাটিং বোলিং, ফিল্ডিং সবকিছুতেই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আমার উইকেট হারিয়েছি, এটাই আমাদের ম্যাচ হারার কারণ। এরপরও প্রথম ম্যাচ হিসেবে আমার খুব ভালো খেলেছি।”