বিপিএলের দ্বিতীয় দিনেই অচলাবস্থা, অনিয়ম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনেই নিজেদের নিয়ম নিজেরাই ভেঙেছে আয়োজকরা। সিলেট সুপারস্টার্স-চট্টগ্রাম ভাইকিংসের মধ্যে দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিদেশি ক্রিকেটারদের খেলানো নিয়ে জটিলতায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার পর নিয়ম ভেঙে তাদের চার জনের জায়গায় দুই জন বিদেশি নিয়ে খেলতে দিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 08:47 AM
Updated : 23 Nov 2015, 02:43 PM

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই কর্মকর্তার উদ্যোগে অচলাবস্থা কাটিয়ে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর ম্যাচ শুরু হয়।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝামেলার শুরু টসের সময় থেকেই। বেলা দেড়টায় টসের জন্য মাঠে অপেক্ষায় চিটাগংয়ের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান। কিন্তু সে সময় আসেননি সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

অবশেষে ২৫ মিনিট পরে টস করতে মাঠে আসেন মুশফিক। টসে জিতে তিনি ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। খেলা ১৫ মিনিট পিছিয়ে সোয়া দুইটায় শুরু হবে বলে জানানো হয়। তবে নতুন করে ঠিক করা সময়েও খেলা শুরু হয়নি। চিটাগংয়ের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ও তিলকারত্নে দিলশান মাঠে নেমেও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের না দেখে ফেরত যান।

পরে জানান হয়, খেলা শুরু হবে তিনটায়। এর ১০ মিনিট আগে সিলেটের খেলোয়াড়রা ফিল্ডিং সাজান। টসের সময় দেওয়া একাদশে ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার জশুয়া কব ও রবি বোপারা না থাকলেও তাদের নিয়ে মাঠে নামে দলটি। এই দুই জনকে নিয়ে আপত্তি জানায় চিটাগং।

ইসিবির অনাপত্তিপত্র না থাকায় টসের সময় দেওয়া একাদশে ছিলেন না কব ও বোপারা। তাদের নিয়ে জটিলতা হওয়ার কথা স্বীকার করেন বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।

তিনি জানান, সিলেটের দুই জন খেলোয়াড়ের অনাপত্তিপত্র না থাকায় টসে দেরি হয়। সাত দিন ধরে তাদের অনাপত্তিপত্র চেয়ে আসছিল গভর্নিং কাউন্সিল কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি।

টসের পর কব-বোপারার অনাপত্তিপত্র মিললে চার জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে তাদের একাদশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। কিন্তু একাদশের বাইরে থেকে এই দুই জনকে নেওয়া নিয়েই শুরু হয় অচলাবস্থা।

জালাল ইউনুস ও বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী দুই দলের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে আলোচনা করেন। পরে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হয়। কব ও বোপারাকে বাদ দিয়ে টসের সময় দেওয়া একাদশ নিয়েই খেলতে নামে সিলেট।

নিয়ম অনুযায়ী চলতি আসরে প্রতিটি দলকে ম্যাচে চার জন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলাতেই হবে। অথচ সিলেটের একাদশে বিদেশি খেলোয়াড় মাত্র দুই জন- শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবিরা ও অজন্তা মেন্ডিস।

গভর্নিং কাউন্সিল যখন চার জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলানো বাধ্যতামূলক করার নিয়মটি জানায় তখনই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সে সময় গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছিলেন, খেলার মান উন্নয়নের জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তৃতীয় ম্যাচে এসেই নিয়ম ভেঙে সিলেটকে দুই বিদেশি নিয়ে খেলার অনুমতি দিতে হয়েছে তাদের।