মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই বল বাকি থাকতে ১৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
৭ রানের মধ্যে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চামু চিবাবা ও রিচার্ড মুতুমবামিকে হারায় স্বাগতিকরা। শন উইলিয়ামস ৫১ রানের ভালো একটি ইনিংস খেললেও ২৭তম ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৮৮ রান।
অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা ও সিকান্দার রাজার ৭১ রানের জুটিতে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা সেখান থেকে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি।
চিগুম্বুরাকে (৩৪) ফিরিয়ে মুরতাঘ ভাঙেন বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি। অধিনায়কের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি রাজাও (৫০)। পরের ওভারে তাকে বোল্ড করে অতিথিদের বড় একটা ধাক্কা দেন মুরতাঘ, সেই ধাক্কা সামাল দিতে না পারায় বেশিদূর এগোয়নি জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
এক সময়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৫৯ রান, এরপর ২৮ রান যোগ করতেই শেষ পাঁচ উইকেট হারায় তারা।
৩২ রানে চার উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সফলতম বোলার পেসার মুরতাঘ।
জবাবে ৪৬ ওভার ৫ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। সর্বশেষ পাঁচ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি তাদের তৃতীয় জয়।
সর্বোচ্চ ৫০ রান করে স্টার্লিং বিদায়ের পর গ্যারি উইলসন, কেভিন ও’ব্রায়েন ও জর্জ ডকরেল দ্রুত তাকে অনুসরণ করলে ম্যাচে ফিরে জিম্বাবুয়ে। ১৬০ রানে প্রথম আট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়া আয়ারল্যান্ডের ত্রাতা অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়ান ও মুরতাঘ।
অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে ২৯ রানের জুটি গড়ে আয়ারল্যান্ডকে জয় এনে দেন তারা। ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচ সেরা মুরতাঘ।
জিম্বাবুয়ের ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টিনোটেন্ডা মুতুমবদজি ও অভিষিক্ত টাওরাই মুজুমবানি দুটি করে উইকেট নেন।
এই হারের পরও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।