তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড নেয় রাজশাহী। তৃতীয় দিন কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪ রান তোলে সিলেট। মঙ্গলবার শেষ দিনে শুরুটা ভালোই করে সিলেট।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ২৫.৪ ওভারে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ইমতিয়াজ হোসেন ও শাহনাজ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে শতক করা ইমতিয়াজকে বোল্ড করে রাজশাহীকে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন ফরহাদ রেজা।
এরপর একে একে শাহনাজ, জাকির হাসান, রাজিন সালেহ ও রুমান আহমেদ ফিরে গেলে এক সময়ে সিলেটের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪৩ রান।
আগের দিন ক্যারিয়ারে প্রথমারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়া রাহাতুল ফেরদৌস কাপালীর সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে দেন।
৮০তম ওভারের শেষ বলে ফেরদৌস আউট হলে ভাঙে ২৯ ওভার স্থায়ী ষষ্ঠ উইকেট জুটি। এক ওভার পর ফিরে যান কাপালীও। দলকে বিপদ থেকে বাঁচালেও মাত্র সাত রানের জন্য শতক না পাওয়ার হতাশা নিয়ে ফিরেছেন কাপালী।
আবুল হাসান ও এনামুল জুনিয়র বাকি সময়টুকু নিরাপদেই কাটিয়ে দেন, শেষ পর্যন্ত ৯১ ওভারে ২৬৭ রান করে সিলেট।
প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের দারুণ ইনিংসের জন্য ড্র হওয়া এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সিলেটের ইমতিয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট প্রথম ইনিংস: ৩২৮
রাজশাহী প্রথম ইনিংস: ৩৮০
সিলেট দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬৭/৭ (ইমতিয়াজ ২৭, শাহনাজ ৩৯, জাকির ১, রাজিন ৩৩, কাপালী ৯৩, রুমান ০, ফেরদৌস ৪১, হাসান ১৩*, এনামুল জুনিয়র ৫*; শাফাক ১২-১-৪০-০, ফরহাদ রেজা ১৩-৪-১৮-২, মইনুল ১০-৩-২৫-০, নিহাদ ২০-৪-৭২-২, সানজামুল ২৫-৩-৮১-২, ফরহাদ হোসেন ৫-০-১১-০, মোহাইমিনুল ৩-১-৩-০, নাজমুল ২-০-৫-০, জুনায়েদ ১-১-০-০ )
ফল: ড্র।
ম্যাচ সেরা: ইমতিয়াজ আহমেদ।