প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদি নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সপ্তম ম্যাচেই প্রথমবার ১০ উইকেট শিকার করলেন তিনি। সঙ্গে লো-স্কোরিং ম্যাচের দুই ইনিংসে ৬৭ ও ৩৩ রানের দুটি মহামূল্য ইনিংস।
রংপুরের তরুণ অফ স্পিনার সঞ্জিত সাহা নিয়েছেন ম্যাচে ১১ উইকেট। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থকে ছাপিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন খুলনাকে জেতানো মেহেদিই। আগের ম্যাচেও ব্যাট হাতে অর্ধশত করার পাশাপাশি বল হাতে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার।
জয়ের পথে আগের দিন বিকেলেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল খুলনা। মাত্র ২০০ রানের লক্ষ্য দিতে পারলেও ৫৮ রানে তুলে নিয়েছিল রংপুরের ৬ উইকেট।
তবে মঙ্গলবার শেষ দিন সকালে ৬২ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে ম্যাচে ফেরান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষ। নাঈমকে এলবিডব্লিউ করে লাঞ্চের আগে এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ খান।
ধীমান পরে আরিফুলের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছিলেন রংপুরকে। অর্ধশত করে রংপুরের আশা হয়ে থাকা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে (৫৬) ফিরিয়ে খুলনাকে স্বস্তি দেন মেহেদি। পরে আরিফুলকেও ফেরান তিনি।
শেষ জুটিতে দুই বোলার সাদ্দাম ও সঞ্জিত আবারও হুমকি হয়ে উঠেছিলেন খুলনার জন্য। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই সাদ্দামকে ফিরিয়ে রংপুরকে গুটিয়ে দেন জিয়াউর রহমান, খুলনা জেতে ১৩ রানে।
দুই ড্র আর এক জয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের শীর্ষেই থাকল খুলনা। ৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা ১ম ইনিংস: ২১১
রংপুর ১ম ইনিংস: ২২০
খুলনা ২য় ইনিংস: ২০৮
রংপুর ২য় ইনিংস: ৮৮.৪ ওভারে ১৮৫ (নাঈম ৩৮, ধীমান ৫৬, আরিফুল ২০, সাদ্দাম ১৫, সঞ্জিত ৬*; রবিউল ২-১-১-০, রাজ্জাক ৪৪-১৪-৯৭-৪, মেহেদি ৩৩-১২-৫৩-৪, মুরাদ ৯-২-২৩-১, জিয়াউর ০.৪-০-৪-১)।
ফল: খুলনা ১৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মেহেদি হাসান মিরাজ।