রোববার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪৪৪ রান। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১৭ ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র ৭ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ২০৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করে স্বাগতিক দল।
সকাল পৌনে দশটার দিকে বৃষ্টি হানা দেওয়ার আগেই শতকে পৌঁছে যান ৯০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা তামিম। বৃষ্টির জন্য আগের দিন প্রায় এক সেশন খেলা না হওয়ায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ত্রয়োদশ শতকের জন্য রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে।
দ্বিতীয় দিন কয়েকবার বৃষ্টি হানা দিলেও এদিন সাড়ে চারশ’ রানের কাছাকাছি পৌঁছে যায় চট্টগ্রামের সংগ্রহ। তামিমের মতো এতে বড় অবদান রয়েছে শতক পাওয়া আরেক ব্যাটসম্যান তাসামুলের।
তৃতীয় উইকেটে তাসামুলের সঙ্গে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান তামিম। এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ২২৯ বলের ইনিংসটি ১৭টি চার ও তিনটি ছক্কা সমৃদ্ধ।
তামিমের বিদায়ের পর তরুণ ইয়াসির আলির সঙ্গে ৫৩ ও ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে ৬৬ রানের ভালো দুটি উপহার দেন তাসামুল।
আগের দিন মুমিনুল হককে বোল্ড করা আল আমিন ফেরান তাসামুলকে। বোল্ড হওয়ার আগে ১০৭ রানের দৃঢ়তভরা ইনিংস খেলেন তাসামুল। তার ২৯২ বলের ইনিংসটি সাজানো ৯টি চার ও দুটি ছক্কায়।
তাসামুলের বিদায়ের পর শুক্কুর ও ইফতেখার সাজ্জাদকে দ্রুত ফিরিয়ে শেষ বেলায় কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল।
বরিশালের অফস্পিনার সোহাগ গাজী ৩ উইকেটে নেন ১১৪ রানে। চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংসে এ পর্যন্ত নয় জন বোলার ব্যবহার করেছেন বরিশালের অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম: ১৫১ ওভারে ৪৪৪/৭ ( তামিম ১৩৭, নাফিস ৫৬, মুমিনুল ১৬, তাসামুল ১০৭, ইয়াসির ২৮, শুক্কুর ৪৭, সাইফুদ্দিন ১৭*, সাজ্জাদ ১৯, নাঈম জুনিয়র ৭*; তৌহিদ ১৩.১-১-৩৮-০, কবির ১৮-১-৭৫-১, নুরুজ্জামান ৩-০-১৬-০, সোহাগ ৪৮.৫-১৪-১১৪-৩, সালমান ২-০-১৩-০, মনির ২৮-৫-৫৫-০, আল আমিন ২৩-৪-৫৬-২, সালেহ ১৪-৩-৬৯-১, মাহমুদ ১-০-৪-০ )