আগের দিন ফলো অনের পর ব্যাটিংয়ে নেমে আবার বিপর্যয়ে পড়েছিল রংপুর। তবে শেষ দিনে দারুণ ব্যাটিংয়ে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে ম্যাচ ড্রয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।
কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবে রংপুরের। শেষ বিকেলে আউট হন ১২১ রান করা সোহরাওয়ার্দী। রংপুর যখন অলআউট হয়, জয়ের জন্য ঢাকার চাই ৭ ওভারের ৫৫।
প্রথম ওভারেই রান-বলের টানাপোড়েন অনেকটা শেষ করে দেন শুভাগত হোম। প্রথম বলে রান আউট হয়েছিলেন ঢাকার রনি তালুকদার। কিন্তু তিনে নেমে ওই ওভারেই বাঁহাতি পেসার সাজেদুলকে টানা তিনটি ছক্কা মারেন শুভাগত।
পরে তানভীর হায়দারকেও মারেন একটি ছক্কা। ১৬ বলে শুভাগত অপরাজিত ৪০। ঢাকা বিভাগ ৫৫ তুলে ফেলে ৪.২ ওভারেই!
রংপুর দিন শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে। প্রথম সেশনে হারায় তারা আরও ৩ উইকেট। তবে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে তিনে নামা সোহরাওয়ার্দী ছিলেন এক পাশে অটল।
১৮৯ বলে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক ছুঁয়ে ফেলেন সোহরাওয়ার্দী। শতকের পরও হাল ছাড়েননি। রংপুরের লোয়ার অর্ডারও উইকেটে পড়েছিল দাঁত কামড়ে। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলে সোহওয়ার্দীর ৩৪৭ মিনিটের প্রতিরোধ ভাঙেন মাহবুবুল আলম।
শেষ জুটিতেই দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন রংপুরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান। ১৫ ওভার উইকেটে কাটিয়ে দেন দুজন। নখ কামড়ানো উত্তেজনার মধ্যে শেষ ব্যাটসম্যান সাদ্দামকে বোল্ড করেন শুভাগত। আরেকপাশে রংপুর অধিনায়ক সাজেদুল তখন অপরাজিত ৭২ বলে ৪ রান করে!
ব্যাট হাতেও পরে অগ্রণী শুভাগত। তবে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি নিয়ে ম্যাচ-সেরা বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন।
এই জয়ের পর ২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের দুইয়ে আছে ঢাকা, ১১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রংপুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৪৪৯
রংপুর ১ম ইনিংস: ২৪৮
রংপুর ২য় ইনিংস (ফলো অনের পর): ১১১.১ ওভারে ২৫৫ (সোহরাওয়ার্দী ১২১, নাঈম ১৯, ধীমান ১২, মাহমুদুল ২, তানভীল ২৬, আরিফুল ১৫, সাজেদুল ৪*, সাদ্দাম ১৬; মাহবুবুল ২২-৩-৫১-৪, মায়সুকুর ৬-১-১৭-০, মোশাররফ ৩১-৫-৭৬-২, শুভাগত ৩১.১-১৫-৩৬-৩, রকিবুল ১-০-৫-০, নাদিফ ১৩-২-৩৬-১, শরীফ ৭-২-৩১-০)।
ঢাকা ২য় ইনিংস: ৪.২ ওভারে ৫৫/২ (রনি ১, মায়সুকুর ৮, শুভাগত ৪০*, নাদিফ ২*; সাজেদুল ১-০-২১-০, নাসির ১.২-০-১১-০, সাদ্দাম ১-০-১০-০, তানভীর ১-০-১১-১)।
ফল: ঢাকা ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোশাররফ হোসেন