শেষ দিন সকালে সিলেট ফলোঅন এড়ানোর পরই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়, ড্রয়ের পথে গড়াচ্ছে ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে ৫২৭ রান করা বরিশাল অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। তবে নাটকীয় কিছু হতে দেয়নি মোসাদ্দেকের ব্যাট।
প্রথম ইনিংসের অপরাজিত ২০০ রানের পর এবার মোসাদ্দেক চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রান করেছেন। দল ২৫ রানে ৩ উইকেট হারালে চতুর্থ উইকেটে ফজলে রাব্বিকে নিয়ে গড়েছেন ৮৫ রানের জুটি।
প্রথম ইনিংসে শতক করা রাব্বি এবার করেন ৪৭ রান। এই দুজনকেই আউট করেছেন অলক কাপালি। তাতে ম্যাচে সাময়িক প্রাণ ফিরলেও শেষ পর্যন্ত হয়েছে ড্র-ই।
সকালে ৭ উইকেটে ৩৬৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল সিলেট, ফলো অন এড়াতে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। এক প্রান্ত আগলে দলকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন রাজিন সালেহ। সঙ্গীর অভাবে শতক অবশ্য করতে পারেননি, অপরাজিত থেকে যান ৮৯ রানে।
বল হাতেও মোসাদ্দেক নিয়েছেন ২ উইকেট। ম্যাচ-সেরায় তাই তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
২ ম্যাচ শেষে ২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষে আছে রাজশাহী। মঙ্গলবারই চট্টগ্রাম হারিয়ে এবারের জাতীয় লিগের প্রথম দল হিসেবে জয়ের মুখ দেখেছে রাজশাহী। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরের দুইয়ে আছে বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৫২৭/৯ (ডিক্লে.)
সিলেট ১ম ইনিংস: ১৫৫.২ ওভারে ৪০০ (রাজিন ৮৯*, সাদিকুর ১২, আবু জায়েদ ০, এনামুল জুনিয়র ২; কামরুল ২০-২-৩৯-০, তৌহিদুল ২২-৪-৭৫-১, মনির ৪২-৫-১১৪-২, সোহাগ ৮০-৯-৮৭-৪, সালমান ৫-২-৭-০, ফজলে রাব্বি ৯-১-২৯-০, আল আমিন ৪-১-৭-১, মোসাদ্দেক ১৩.২-২-৩৬-২)।
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৫৬ ওভারে ১৪৬/৭ (শাহরিয়ার ১, শাহিন ১, ফজলে রাব্বি ৪৭, সজিব ৩, মোসাদ্দেক ৬১, সোহাগ ৯, আল আমিন ০, সালমান ১৫*, কামরুল ৬*; আবুল হাসান ৬-১-১৩-১, আবু জায়েদ ৯-৪-১৪-২, সাদিকুর ১৪-১-৫৪-০, রাহাতুল ১৫-৪-৪৫-২, অলক ১১-২-১৮-২, জাকির ১-১-০-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন।