জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় দিন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ৫২৭ রানে বরিশাল বিভাগের ইনিংস ঘোষণার সময় ২০০ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক। ক্যারিয়ারে ছয়টি শতকই এ বছর পেলেন এই তরুণ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
এক বছরে তৃতীয় দ্বিশতক পাওয়া মোসাদ্দেকের ২৪৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কায়। এ নিয়ে টানা চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে শতক করলেন তিনি।
বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের তিনটি দ্বিশতক নেই। আর প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এর আগে টানা চার ম্যাচে শতকের কৃতিত্ব রয়েছে কেবল মাহমুদউল্লাহর। মোসাদ্দেকের শহর ময়মনসিংহের এই অলরাউন্ডার ২০০৮-০৯ এনসিএলে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
গত বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯ বছর বয়সী মোসাদ্দেকের অভিষেক হয়। বছরটি খুব একটা ভালো কাটেনি এই তরুণ অফ স্পিন অলরাউন্ডারের।
প্রথম মৌসুমে দুই ম্যাচ খেলে মাত্র ২৪ রান করেন এই তরুণ। পরের মৌসুমেই নিজের জাত চেনান মোসাদ্দেক। গত মৌসুম অর্থাৎ ২০১৪-১৫ মৌসুমে ৮ ম্যাচে চারটি শতকসহ ৮৬.০৮ গড়ে করেন এক হাজার ৩৩ রান।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম শতকটি পান মোসাদ্দেক। রংপুর বিভাগের বিপক্ষে পাওয়া প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কে পৌঁছানো এই ইনিংসটি থামে ২৫০ রানে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে জাতীয় ক্রিকেট লিগের পরের ম্যাচে আরো ধারাল হয়ে উঠে মোসাদ্দেকের ব্যাট। এবার থামেন ২৮২ রানে, যা এখনও তার সর্বোচ্চ।
পরের দুই ম্যাচে খেলেন ১৫৩ ও ১১৯ রানের নজরকাড়া দুই ইনিংস।
২০১৫-১৬ মৌসুমের এনসিএলেও দারুণ ছন্দে আছেন মোসাদ্দেক। রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ১২২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তিনি। আর এবার টানা চার ম্যাচে শতক করে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন তিনি।
সর্বশেষ চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে মোসাদ্দেকের স্কোর এমন-১৫৩, ১৯, ১১৯, ১২২, ৪০, ২০০*। এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ১৯ ইনিংসে ৭৮.৮৩ গড়ে ১৪১৯ রান করেছেন এই তরুণ।