অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করার সময় ঢাকায় আততায়ীর গুলিতে একজন ইতালীয় নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার সফর স্থগিত করাটা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন শাহরিয়ার।
“একজন ইতালীয়কে মারা হলো আর সফর স্থগিত হয়ে গেল। আমাদের এখানে তো ৫০ হাজার মানুষ মারা গেছে।”
২০০৯ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট একরকম বন্ধ রয়েছে। গত মে মাসে প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে পাকিস্তান সফর করে জিম্বাবুয়ে।
পিসিবি প্রধান মনে করেন, সন্ত্রাসবাদের জন্য এক ধরনের শঙ্কা থাকেই। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ওপর আস্থা রাখতে হবে; কারণ, সবাই শতভাগ সুরক্ষা দেবে।
“অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ডের মতো কিছু দেশ হয়তো অতি স্পর্শকাতর।”
দুটি টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সদস্যদের গত সোমবার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ‘সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য পাওয়ার’ কথা জানিয়ে শনিবার হঠাৎ করেই সফর পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। তাদের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে।
অস্ট্রেলিয়া দলকে ভিভিআইপি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে না আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
সফর স্থগিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। একই সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্রুত সিরিজটি আয়োজনের আশাবাদও প্রকাশ করেছে তারা।
আগামী বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ছাড়াও বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ড দলের।