প্রথম ইনিংসে ১৮৩ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ‘এ’ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে।
বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতা মিলিয়ে দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়নি ২৬ ওভারের মতো। তার পরও পরাজয়ের শঙ্কাকে দূরে ঠেলতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্য রানে আউট হয়ে ওপেনার এনামুল হক পেয়েছেন ‘পেয়ার’। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করে আউট হয়েছেন জয়ন্ত যাদবের অফ স্পিনে।
প্রথম দিনে ৩৩ ওভারেই ১৬১ রান তুলে ফেলা ভারত ‘এ’ দল দ্বিতীয় দিনও রান তুলেছে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। মাত্র ৮৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৪১১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারতীয়রা।
১১৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা শিখর ধাওয়ান দ্বিতীয় দিনেও আগ্রাসি ব্যাটিং করে ছুঁয়ে ফেলেন দেড়শ’। শেষ পর্যন্ত ১৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪৬ বলে ১৫০ করে আউট হয়েছেন সাকলাইন সজিবের বলে।
আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আইয়ারকে ৩৮ রানে বোল্ড করেন নাসির হোসেন।
উইকেটপতনেও কমেনি ভারতীয়দের রানের গতি। ভারতের টেস্ট দলের দরজায় কড়া নাড়তে থাকা করুন নায়ার করেন ১২ চারে ৭১ রান। চারটি করে চার ও ছক্কায় ১১০ বলে ৮৬ করে আউট হন বিজয় শঙ্কর। দুজনকেই বোল্ড করেন লেগ স্পিনার জুবায়ের।
বিজয় শঙ্কর আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ভারত ‘এ’। ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন উইকেটকিপার নামান ওঝা।
প্রথম দিন ২.৫ ওভার বল করেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া রুবেল দ্বিতীয় দিনও বল করতে পারেননি। ৩.২ ওভার করে চোটের কারণে আর বোলিং করতে পারেননি শফিউল ইসলামও।
৭৬ রানে ২ উইকেট নেন জুবায়ের। ১০৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম, ১২১ রানে ১টি সাকলাইন। নাসির ১ উইকেট নিয়েছেন ৬৭ রানে।
যে আশায় ভারত ‘এ’ দলের ত্বরিত ইনিংস ঘোষণা, সেটি পূর্ণ করেন দলের বোলাররা। ২১ রানের মধ্যে ফেরত পাঠান বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দুই ওপেনারকে।
আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল, ৭ রানে লিটন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ গুটিয়ে গিয়েছিল ২২৮ রানে।
সফরের প্রথম তিন দিনের ম্যাচে মুমিনুলরা হেরেছিল কর্নাটক রাজ্য দলের কাছে।