বিপিএলের তৃতীয় আসরের উদ্বোধন ২২ নভেম্বর

বিপিএলের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠছে আগামী ২২ নভেম্বর। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সেদিন হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। খেলা শুরু ২৪ নভেম্বর।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2015, 08:20 AM
Updated : 16 Sept 2015, 10:55 AM
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলের তৃতীয় আসর শুরুর দিনক্ষণ ঘোষণা করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। ফ্র্যাঞ্চাইজি বাড়া-কমা নিয়ে বিভিন্ন সময় একেকরকম কথা বলা হয়েছিল বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছে দলের সংখ্যা। আগের আসরে সাতটি দল খেললেও তৃতীয় আসরে অংশ নিচ্ছে ছয়টি দল।

কোন প্রতিষ্ঠান কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি পাচ্ছে, সেটিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বেক্সিমকো গ্রুপ পাচ্ছে সবচেয়ে আকাঙ্খিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা। চট্টগ্রাম পাচ্ছে ডিবিএল গ্রুপ, বরিশাল পাচ্ছে এক্সিওম টেকনোলজিস, সিলেট পাচ্ছে আলিফ গ্রপ, রংপুরের সত্ত্বাধিকারী আই স্পোর্টস এবং কুমিল্লা পাচ্ছে রয়্যাল স্পোর্টিং লিমিটেড।

আপাতত চার বছরের জন্য দলগুলির মালিকানা পেয়েছে এই ছয়টি কোম্পানি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, চার বছর পর আলোচনা করে মালিকানা নবায়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ও ‘ইন স্টেডিয়া’ রাইটস পেয়েছে বিআরবি কেবলস।

তৃতীয় আসরের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে তিনটি নতুন, তিনটি পুরোনো। পুরোনোদের মধ্যে একমাত্র আই স্পোর্টস পেয়েছে পুরোনো দল রংপুর। আগের বরিশাল বার্নাসের সত্ত্বাধিকারি আলিফ গ্রুপ এবার পেয়েছে সিলেট।

এই বদলের ব্যাখ্যা দিলেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

“বিপিএলের নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো সবাই দল উল্লেখ করে আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। যেমন বেক্সিমকো ঢাকা, ডিবিএল চট্টগ্রাম, এক্মিওম চেয়েছিল বরিশাল। আমরা তখন এক্সিওমকে মৌখিকভাবে কথা দেই বরিশালের ব্যাপারে। তখনও পর্যন্ত আলিফ গ্রুপ আমাদের টাকা শোধ করেনি। এরপর যখন আলিফ গ্রুপ টাকা শোধ করল, তারা বরিশালই চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের বলেছিলাম বরিশাল সম্ভব নয়। তারা তখন সিলেট বেছে নিয়েছে।”

সিলেটের আগের সত্ত্বাধিকারী পক্ষ এবার পেয়েছেন নতুন দল কুমিল্লা। বিভাগ না হয়েও কুমিল্লা কিভাবে দল পাচ্ছে, সেটির ব্যাখ্যায় গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব জানালেন নতুন সিদ্ধান্তের কথা।

“এখন সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ময়মনসিংহ বিভাগ হচ্ছে, কুমিল্লা হতে পারে। এজন্য আমরা আর ডিভিশনে যাচ্ছি না, সিটি কর্পোরেশন বিবেচনা করছি।”

সদস্য সচিব জানালেন, গভর্নিং কাউন্সিলের কোনো সদস্য কোনোভাবেই কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না এবার। তবে বোর্ডের অন্যরা এবং জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা চাইলে দলগুলির সঙ্গে কোচিং বা পরামর্শক বা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন।

গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক নিজে বেক্সিমকোর চাকুরে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানও বেক্সিমকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। সেই বেক্সিমকোরই একটি দল বিপিএলে অংশ নিলে টুর্নামেন্ট নানা ভাবে প্রভাবিত হওয়ার একটি শঙ্কা থাকেই।

সদস্য সচিব অবশ্য সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন।

“আমি বেক্সিমকো ফার্মাতে কাজ করি। দল নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। আমি তো বেক্সিমকোর চাকুরে, মালিক নই। দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকবে না আমার। বোর্ড প্রধানও চাকুরে। এটার সঙ্গে উনার সম্পর্ক নেই। এখানে তো স্বার্থের সংঘাতের ব্যাপার নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া-নেওয়া, বা খেলা চলাকালীন আমাদের বেক্সিমকো গ্রুপের দলের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।”