জনসনরা না এলেও স্বস্তির কিছু দেখছেন না মুশফিক

মিচেল জনসন, জশ হেইজেলউডরা বাংলাদেশ সফরে না এলেও স্বস্তির অবকাশ দেখছেন না মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের মতে, অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের বিকল্পরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2015, 10:56 AM
Updated : 3 Sept 2015, 10:56 AM

বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন মৌসুম শুরুর আগে এখন চলছে বিসিবির এলিট প্লেয়ার্স কন্ডিশনিং ক্যাম্প। মূলত ফিটনেস নিয়েই চলছে কাজ। তবে থেমে নেই স্কিল ট্রেনিংও। নিজেদের মতো করে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করছেন প্রায় সবাই। যথারীতি এখানেও অগ্রণী মুশফিকুর রহিম। প্রতিদিনই ব্যাটিং অনুশীলন করছেন লম্বা সময় ধরে।

বৃহস্পতিবারও ফিটনেস ট্রেনিং শেষে শের-ই-বাংলার সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং করলেন প্রায় ঘন্টা খানেক। জনসন-হেইজেলউডের সম্ভাব্য বিশ্রামের খবর জানতেন না তিনি। শুনে প্রথমে রসিকতাই করলেন, "জনসন এলেই তো ভালো হতো। এখানকার উইকেটে ওর বলে অনেক রান করা যেত!"

রসিকতা শেষে অবশ্য আপন চেহারায় ফিরলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, দুই পেসারের না আসার খবরে স্বস্তির কিছু নেই।

"এমনিতে মনে হতে পারে জনসন-হেইজেলউডের মতো দুজন পেসার না আসায় আমাদের ভালোই হবে। কিন্তু ব্যাপারটি এত সহজ নয়। অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ অনেক সমৃদ্ধ। সাম্প্রতিক ফর্মে তো বরং মিচেল স্টার্ক অনেক এগিয়ে। সে আসবে, বাকি যারা আছে তাদেরকে খেলাও সহজ হবে না।"

গত কিছুদিনে সব সংস্করণেই অস্ট্রেলিয়ার সফলতম পেসার স্টার্কের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে থাকবেন হয়ত পিটার সিডল, প্যাট কামিন্সরা। ফিরতে পারেন জেমস প্যাটিনসনও। মুশফিক আলাদা করে বললেন স্টার্ক-কামিন্সের কথা।

"স্টার্ক তো এখন জনসনের চেয়েও অনেক জোরে বল করে। সুইংও করায় অনেক। কামিন্স হয়ত থাকবে। সেও অনেক গতিময়, বাউন্স পায় অনেক।"

বাংলাদেশ সফরের দল এখনও ঘোষণা করেনি অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার আগে দল ঘোষণার সম্ভাবনাও খুব কম বলে জানায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টিম পারফরম্যান্স জেনারেল ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে ইঙ্গিত দেন, বাংলাদেশ সফরে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জনসন ও হেইজেলউডকে।

অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণে বিকল্পের অভাব নেই। মুশফিকের মতে, সিরিজ বাংলাদেশের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং হবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দর্শনের কারণেও।

"অস্ট্রেলিয়া তো আর উপমহাদেশের দলগুলোর মতো নয়। কখনোই এতটুকুও ছাড় দিতে চায় না ওরা। কে আসছে না আসছে, সেটা তাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওদের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে আমাদের।"

টেস্টে জনসনকে খেলার অভিজ্ঞতা এখনও হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। হচ্ছে না হয়ত এবারও। গত এক দশকের সবচেয়ে ভীতি জাগানিয়া ফাস্ট বোলারদের একজনকে খেলতে পারাটাও বড় এক অভিজ্ঞতা হতে পারত বাংলাদেশের জন্য।

মুশফিক অবশ্য এখানেই আশার শেষ দেখছেন না।

"জনসনকে খেলতে পারা বড় অভিজ্ঞতা হতে পারত অবশ্যই। তবে অনেক বড় বড় ফাস্ট বোলারকে আমরা খেলেছি, ভালোও করেছি। আশা করি ভবিষ্যতে কখনও জনসনকেও খেলব আমরা, ভালোভাবেই সামলাব।"

২ টেস্টের সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পা রাখবে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামে শুরু হবে ৯ অক্টোবর।