বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আইসিআরসি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১১টায় উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এই টুর্নামেন্টের শুভেচ্ছা দূত মাশরাফি, ক্রিকেটের সীমানা ছাড়িয়ে যিনি বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রেই অনেকের কাছে আদর্শ। মাশরাফি টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলেরও শুভেচ্ছা দূত।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের কোনো সহানুভূতি জানাতে চান না তিনি। এই ক্রিকেটারদের জন্য তার রয়েছে নিরন্তর শুভেচ্ছা। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের সাহসিকতা, উদ্যম আর প্রাণশক্তির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি।
“আমাকে যখন শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছিল, তখনই বলেছিলাম যে, (এটা) আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় ঘটনা। টুর্নামেন্ট এখন শুরু হচ্ছে, খুব ভালো লাগছে। চেষ্টা করব যত বেশি সম্ভব মাঠে থাকার, খেলা দেখার।”
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় এই তারকা মনে করেন, প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা প্রয়োজন।
“কারণ, পরিবার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই ওরা অনেক অবহেলিত। ওদের ওপর আলোটা পড়লে সবাই ওদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারবে। ওরাও জীবন নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”
এর আগে টুর্নামেন্টের মিডিয়া পার্টনার দেশের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাশরাফি জানান, এই প্রতিযোগিতার শুভেচ্ছা দূত হয়ে তিনি যতটা আনন্দ পেয়েছেন, এত ভালো লাগা জীবনে আর কিছুতে পাননি।
“ওদের জন্য কিছু একটা করার সুযোগ অন্তত পেয়েছি। হয়তো এটা এমন কিছুই না, খুব বড় কিছু নয়, তারপরও অন্তত কিছু মানুষের অনুপ্রেরণা হতে পারলেও বড় পাওয়া।”
দর্শকদের মাঠে গিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের খেলা দেখার অনুরোধ জানান মাশরাফি। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের যত মানুষ খেলা দেখে তার পাঁচ ভাগ লোকও যদি এই টুর্নামেন্টের খেলা দেখে, সবাই খুব অনুপ্রাণিত হবে। সব পরিবার, সমাজও অনেক সচেতন হবে।
উদ্বোধনী ম্যাচের দুই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ছাড়াও টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করবেন।