বিপিএলের পারিশ্রমিকের পুরোটা পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা

বিপিএলের বিভিন্ন দলগুলো থেকে পুরো পারিশ্রমিক আর পাওয়া হচ্ছে না ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পাওনার চেয়ে অনেক কম টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাঈমুর রহমান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2015, 05:58 PM
Updated : 30 August 2015, 05:58 PM

বিপিএলের তৃতীয় আসর আয়োজনের তোড়জোড় চললেও আড়াই বছর আগে হওয়া দ্বিতীয় আসরের পারিশ্রমিক পুরোপুরি পাননি দেশের কোনো ক্রিকেটারই। অর্ধেকের বেশি টাকা বাকি বেশির ভাগ ক্রিকেটারের। নাঈম ইসলাম ও এনামুল হক জুনিয়রের মতো অনেক ক্রিকেটার কোনো অর্থই পাননি।

তৃতীয় আসরের আগে আগের পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে সুরাহার উদ্যোগ নেয় বিসিবি। পারিশ্রমিক নিয়ে ক্রিকেটারদের দাবি আর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দাবির মধ্যে পার্থক্য অনেক। বিসিবি তাই এটি সমাধানের দায়িত্ব দেয় সাবেক অধিনায়ক নাঈমুরকে।

রোববার বিসিবিতে সংবাদ মাধ্যমের মুথোমুখি হয়ে নাঈমুর জানান, নিজের দায়িত্বটুকু শেষ করেছে তিনি।

“ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে অঙ্কটা আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়ে দিয়েছি। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হিসাবটা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে আছে। দুটো বিবেচনা করে এখন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল টাকাটা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।”

বকেয়া টাকার কতটা ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন, সে সম্পর্কেও ধারণা দিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।

“বকেয়া শতভাগ দেওয়া সম্ভব না। নিলামে ক্রিকেটারদের অনেকের এমন দাম ছিল, যা আসলে বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। আমরা তাই ক্রিকেটারদের ভিত্তি মূল্যের ওপরে একটা অঙ্ক ধরে ঠিক করে নিয়েছি।”

“যাদের চুক্তি কম টাকায় ছিল, তাদের টাকা বেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যার ভিত্তিমূল্য কম ছিল, টাকাটার প্রয়োজনও তারই বেশি।”

এই কম পাওয়াদের তালিকায় থাকবেন সাকিব আল হাসানও। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ৭৫ হাজার ডলার, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স তাকে কিনেছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ডলারে। পেয়েছেন তিনি ৭১ হাজার ডলার।

বাকি টাকা ছাড় দিয়েও সাকিব কিছু পাবেন।

“কিছু অবশ্যই পাবে। ওর সঙ্গে কথা বলেছি আমি। ও নিজেই জানে, ওর চেয়ে টাকাটা বেশি দরকার আরেকজন ক্রিকেটারের। সে বলেছে, ‘সমস্যা নাই, কিছু দিলেই আমি খুশি।’ ওকে আমরা বলেছি শপিং করার জন্য টাকা দেব।”

পাওনার এত বড় অংশ ছাড় দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন ক্রিকেটাররা। কিন্তু যা পাচ্ছেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের, জানালেন নাঈমুর।

“সবাইকে তো খুশি করা সম্ভব না। টাকার মায়া সবারই আছে। যার অনেক টাকা বাকি, তার খারাপ লাগবেই। কিন্তু যে টাকাটা পাওয়ারই কোনো সম্ভাবনা ছিল না, সেটির কিছু যে পাওয়া যাচ্ছে, এটাই বা খারাপ কী।”

নাঈমুর জানান, ক্রিকেটারদের দাবি অনুযায়ী, পাওনা টাকা ছিল মোট সাড়ে ৫ কোটি টাকার মতো। এখন সেটা দাঁড়াচ্ছে মোট আড়াই কোটি টাকার মতো।