বিপিএলের গায়ে পুরোনো হাওয়া

তৃতীয় আসর থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ভাবমূর্তি বদলে দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও পুরোনো পথেই হাঁটছে বিসিবি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ না করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও থাকছে ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়ার সুযোগ!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2015, 03:59 PM
Updated : 30 August 2015, 04:26 PM

বারবার চিঠি দেওয়ার পরও পাওনা পরিশোধ না করায় বিপিএলের পুরোনো দলগুলোর ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিল করে বিসিবি। নতুন করে আহবান জানায় ‘এক্সপ্রেশনস অব ইন্টারেস্ট’ এর। তাতে সাড়া দিয়ে আবেদন করে ১১টি প্রতিষ্ঠান। পরে আগের পাওনা শোধ করে নতুন করে দল পাওয়ার লড়াইয়ে নামে পুরোনো ২টি প্রতিষ্ঠান।

তৃতীয় আসরের জন্য নতুন-পুরোনো সব দলের ১ কোটি টাকার পে অর্ডার ও সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল রোববার।

নির্ধারিত সময় শেষে বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানান, বিসিবির শর্ত পূরণ করে পে অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে মাত্র ৫টি প্রতিষ্ঠান।

এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপরই প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান কৌতুহল জাগানিয়া কথা। আরও ৩-৪টি আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করছে, আলোচনা করছে। দেরির উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে তাদের সুযোগ এখনও আছে বলে জানালেন প্রধান নির্বাহী।

কৌতুহল ও প্রশ্ন এখানেই। ৫টি দলই একটি টুর্নামেন্ট সফল করার জন্য যথেষ্ট। কেন তাহলে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসা? সময় শেষ হওয়ার পরও কেন আবার বাড়ানো? কেন আবার ছাড় দেওয়া?

প্রধান নির্বাহী শোনালেন, বিসিবির ধীরে চলো নীতির কথা, “এটা ছাড় দেওয়ার বিষয় না আসলে। আপনাদের বুঝতে হবে, বোর্ডের চিন্তা ভাবনা হলো টুর্নামেন্টকে সফল করা। সেক্ষেত্রে আমরা একটু ধরে এগোচ্ছি। টুর্নামেন্টে হবে নভেম্বরের শেষে। আমাদের কাছে সময় আছে। এভাবে গেলে হয়ত আমরা একটি ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।”

বিপিএলের আগের দুইবারও এই চিত্র ছিল নিয়মিত। বিভিন্ন ইস্যুতে বারবারই নিজেদের বেধে দেওয়া সময় ও শর্ত থেকে সরে এসেছে বিসিবি। অনেক ক্ষেত্রেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সামনে ছিল নতজানু। এবারও শুরুতেই একই চিত্র বিপিএলের নতুন আসরকে নিয়েও জাগাচ্ছে পুরোনো সংশয়।

প্রধান নির্বাহী এই প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বললেন সেই একই কথা।

“আমরা সময়টা দিয়েছি সত্যি। কিন্তু এমন করেও অনেক কিছুর সমাধান হয়েছে। আগেও এভাবে চেষ্টা করেছি আমরা, তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বোর্ডের লাভ হয়েছে। বোর্ড যেটা করছে, সেটা চিন্তা-ভাবনা করেই করছে। শেষ পর্যন্ত একটি সফল টুর্নামেন্ট করাই উদ্দেশ্য।”