প্রত্যাশিত সাড়া নেই বিপিএলে

নতুন করে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি পেতে ১১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে দল পাওয়ার লড়াইয়ে এখন মাত্র ৫টি প্রতিষ্ঠান!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2015, 03:05 PM
Updated : 30 August 2015, 03:26 PM

বিপিএলে দল পেতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল রোববার।

ফ্র্যাঞ্চাইজির ফি ১ কোটি টাকা পে অর্ডার, সঙ্গে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের গ্যারান্টি হিসেবে সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে বলা হয়েছিল আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি নির্ধারিত সময় শেষে জানান, নতুন আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পে অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান!

সঙ্গে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে রংপুর রাইডার্স ও সিলেট রয়্যালস আগের পাওনা শোধ করে নতৃন আসরের জন্য পে অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছে। সব মিলিয়ে তাই ১৩টি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়ার শর্ত পূরণ করেছে মোটে ৫টি প্রতিষ্ঠান।

রোববার বিকেলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনও যোগাযোগ করছে।

“আমরা আজকে পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নিশ্চয়তা পেয়েছি। সেগুলো হলো ডিবিএল গ্রুপ, বেক্মিমকো, এক্সিওম টেকনোলজিস, আই স্পোর্টস লিমিটেড (পুরোনো রংপুর রাইডার্স) ও রয়্যাল স্পোর্টিং লিমিটেড (পুরোনো সিলেট রয়্যালস)। আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, আলোচনা করছে।”

১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫টির শর্ত পূরণ করা হতাশারই কথা বিসিবির জন্য। তবে প্রধান নির্বাহী শোনালেন নতুন আশার কথা।

“আমি হতাশ বলবো না। আমাদের লক্ষ্য ছিল অন্তত ৭টি দল। ৫টি হয়েছে। যেহেতু এখনও সময় আছে, আমরা আরও দেখব, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।”

‘সময় আছে’, প্রধান নির্বাহীর এই কথা জন্ম দিল নতুন প্রশ্নের। পে অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ অগাস্ট, রোববার। তার পরও সময় থাকে কি করে?

প্রধান নির্বাহী জানান, আরও ৩-৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর আলোচনার অবকাশই বা থাকে কি করে? প্রধান নির্বাহীর যুক্তি, বিপিএলে বদলে যাওয়ার ধরনে বদলে গিয়েছে আগ্রহীদের ভাবনাও।

“আগে বিপিএলে যে কনসেপ্ট ছিল, পুরোটাই ছিল বাণিজ্যিক ব্যাপার। সেটা ভেবেই তারা আবেদন করেছে। যারা আবেদন করেছে, সবাই বড় বড় ব্যবসায়িক গ্রুপ। তাদের কাছে বাণিজ্যটাই প্রাধান্য পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের শর্ত হলো যে শুধু বাণিজ্য নয়, ক্রিকেট উন্নয়নেও অবদান রাখতে হবে। এই বিষয়টা চিন্তা করেই হয়ত তারা সময় নিচ্ছে।”

প্রধান নির্বাহী জানান, তারপরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই হতে পারে গভর্নিং কাউন্সিলের সভা।

নির্ধারিত সময়ে শর্ত পূরণ করা একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও আছে প্রশ্ন, যারা মূলত একটি মার্কেটিং এজেন্সি। তবে তারা দল পেয়ে অন্য কারও কাছে বিক্রি করতে পারবে না বলেই নিশ্চিত করলেন প্রধান নির্বাহী।

“বিক্রি করার সুযোগ থাকবে না। আমরা যখন যাচাই-বাছাই করব, তারা আমাদের শর্তাবলী পূরণ করতে পারে কিনা, সেটা দেখেই নেওয়া হবে।”