নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় না জুবায়েরের। কিন্তু নেটে নিয়মিত প্রচুর বল করে সেই ঘাটতি পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা রয়েছে এই তরুণ বোলারের।
৬ টেস্ট খেলে ১৬ উইকেট নেওয়া জুবায়ের হতে পারেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের অনন্য এক অস্ত্র। ছোট্ট ক্যারিয়ারেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। নিজেকে আরও শাণিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই তরুণ।
“শেষ কয়েকটা ম্যাচে বোলিংয়ে যে ঘাটতিগুলো ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। অ্যাকুরেসি নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছি। একজন লেগস্পিনারের জন্য একই জায়াগায় বারবার বল ফেলা খুব কঠিন। ওটা নিয়েই বেশি কাজ করছি।”
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন জুবায়েরের আদর্শ। দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহিরকে এখন অনুসরণ করার চেষ্টা করেন তিনি।
বয়স মাত্র ১৯ বছর, এখন লম্বা সময় পড়ে আছে জুবায়েরের সামনে। এই সময়ের প্রতিটি মুহূর্তে কাজে লাগানোর প্রত্যয় তার কণ্ঠে, “ভালো মানের লেগস্পিনার হওয়া একটা সাধনার ব্যাপার। অনেক সময় লাগে। আমি তাড়াহুড়ো করছি না। চেষ্টা করছি দিন দিন উন্নতি করার।”
গত বছর অভিষেক হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন জুবায়ের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ চান তিনি।
“ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ম্যাচে কাজে লাগানো যায়। যেখানেই খেলি আমার কাজ হবে পারফরম করা। এবারের জাতীয় লিগে খেলার সুযোগ আছে...। আমার কাজ হলো ভালো খেলা এবং অভিজ্ঞতা অজর্ন করা।”
আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে ভালো করতে উন্মুখ হয়ে আছেন জুবায়ের, “আমাদের উইকেটে টার্ন বেশি থাকে, একটু মন্থর থাকে। চেষ্টা থাকবে এই সুবিধা কাজে লাগানোর।”
জুবায়ের জানেন, তার বোলিংয়ে বেশ বৈচিত্র্য রয়েছে। সেগুলো আরও নিখুঁত করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুযোগ পেলে ভালো জায়গায় বল করে দলকে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেওয়ার প্রত্যয় তার কণ্ঠে।