ভক্তদের মাহমুউল্লাহর কাছাকাছি আসার সুযোগটি করে দিয়েছিল বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও ইমেগো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেইসবুক পাতায় একটি প্রতিযোগিতায় জয়ীরা সুযোগ পেয়েছিলেন আয়োজনে অংশ নেওয়ার। বৃহস্পতিবার আমেরিকান সেন্টারে হওয়া ‘এমপাওয়ারিং ইয়ুথ থ্রু স্পোর্টস’ নামের এই আয়োজনে মাহমুদউল্লাহ শুনিয়েছেন ক্রিকেটের প্রেমে পড়া ও বেড়ে ওঠার গল্প, দুঃসময়কে জয় করা আর বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতার কথা।
নিজের জীবন থেকেই মাহমুদউল্লাহ শুনিয়েছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার গুরুত্ব।
“শিক্ষা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক সহায়তা করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন। এর বাইরেও যত ভাবে পারা যায় জ্ঞানার্জন করা, সেটা কখনোই বিফলে যায় না। বরং জীবনের সব চ্যালেঞ্জ জয় করতে শিক্ষার বিকল্প নেই।”
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম শতক করা এই ব্যাটসম্যান কিশোর-তরুণদের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে বলেন।
“জীবনে সফল হতে হলে বড় স্বপ্ন থাকতে হবে এবং সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে হবে। নিজের প্রতি সৎ থেকে পরিশ্রম করে যেতে হবে। খেলাধূলা, শিক্ষা বা জীবনের যে কোনো ক্ষেত্র, সব জায়গাতেই সফল হওয়া সম্ভব যদি সত্যিকারের পরিশ্রম, ইচ্ছাশক্তি আর নিবেদন থাকে।”
উপস্থিত কিশোর-তরুণদের জন্য ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। ‘ক্রিকেটের শুরু কিভাবে, আদর্শ কে, অনুপ্রেরণা কারা, মাঠে চাপ জয় করেন কিভাবে’; এমন সব জিজ্ঞাসায় দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পর্বে হাসিমুখে সময় নিয়ে উত্তর দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
সাধারণ এসব প্রশ্নের পাশাপাশি ছিল দু-একটি ইয়র্কার; ‘মাহমুদউল্লাহ এত ধীরগতিতে ব্যাট করেন কেন?’ চ্যালেঞ্জটা হাসিমুখেই গ্রহণ করেছেন মাহমুদউল্লাহ, “চার নম্বরে ব্যাট করি, দলে ভূমিকার কারণেই এক পাশ আগলে রেখে খেলতে হয়। তার পরও কিন্তু আমার স্ট্রাইকরেট খারাপ না!’
ছিল বাউন্সার, ‘বাংলাদেশ দলের একটি-দুটি উইকেট পড়লেই টপাটপ আরও উইকেট পড়ে কেন?’ মাহমুদউল্লাহ সেই বাউন্সারে হুক করেছেন সপাটে, “মোটেও না, এখন মোটেও টপাটপ উইকেট পড়ে না।”
ঘন্টা দুয়েকের প্রাণবন্ত আয়োজনে মাহমুদউল্লাহকে আমেরিকান সেন্টারের সাম্মানিক সদস্যপদও দেওয়া হয়।