আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সেই দুই ম্যাচের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন সৌম্য।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ও ভারতের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলেন সৌম্য। তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে তার রান ৩৩, ৩৩, ৩, ১, ৩৭। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজের দলে থাকলেও সুযোগ পাননি কোনো ম্যাচ খেলার।
স্বাভাবিকভাবেই নিজের টেস্ট পারফরম্যান্সে খুশি নন সৌম্য। তবে হতাশ না হয়ে দলে জায়গা পাকা করতে ঘাম ঝরাচ্ছেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
“টেস্ট ক্রিকেটে যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, তাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারিনি। এখন আমার মনোযোগ টেস্টে নিজেকে প্রমাণ করার দিকে। সেটা মাথায় রেখে অনুশীলন চলছে। টেস্টে নিজের জায়গা কিভাবে পাকা করা যায়, সেটা নিয়েই কাজ করছি।”
টেস্ট আর ওয়ানডেতে সৌম্যর পারফরম্যান্সের গ্রাফ যেন বিপরীতমুখি। ওয়ানডেতে যেখানে ১৬ ম্যাচে ১ শতক ও ৫ অর্ধশতকে ৪৯.৪২ গড়ে ৬৯২ রান করেছেন, টেস্টে সেখানে ৩ ম্যাচে ২১.৪০ গড়ে রান ১০৭।
৩টি মাত্র টেস্ট যদিও একজন ব্যাটসম্যানকে পরখ করার জন্য যথেষ্ট নয় মোটেও। কিন্তু টেস্ট ইনিংসগুলোতে সৌম্যকে ওয়ানডের মতো ঠিক সপ্রতিভ ব্যাট করতে দেখা যায়নি।
ব্যাটিংয়ের ধরণটাও না পারার আরেকটি কারণ হতে পারে। নিজের খেলা সবশেষ টেস্ট ইনিংসেও ওয়ানডের মত জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন সৌম্য। অভিষেক টেস্টে আউট হয়েছিলেন মোহম্মদ হাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে।
“টেস্ট আর ওয়ানডে সম্পূর্ণ আলাদা। টেস্টের একটা আলাদা ধরন আছে। টেস্টের সৌন্দর্যটা অন্য রকম। আমি যেভাবে খেলি, সেটাই ধরে রাখতে চাই। এরপরও কিছু বিষয় আছে, যেখানে আরও কাজ করতে হবে। টেস্টের একটা আলাদা চাহিদা আছে, সেটা পূরণের জন্য কাজ করতে হবে।”
সাদা পোশাকে অবশ্য নিজের পছন্দের পজিশনে এখনও ব্যাট করতে পারেননি সৌম্য।
ওয়ানডেতে ইনিংস উদ্বোধন করেন আর টেস্ট খেলতে হচ্ছে ৬-৭ নম্বরে। তামিম-ইমরুলের উদ্বোধনী জুটি যেহেতু এখন দারুণ জমে গেছে, কেউ চোট-আঘাত না পেলে নিকট ভবিষ্যতে অন্তত টেস্টে সৌম্যর ইনিংস উদ্বোধন করার সুযোগ নেই।
লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জটাই তাই নিচ্ছেন সৌম্য।
“সাত-আট নম্বরে ব্যাটিং করা কঠিন। ওই জায়গায় (ব্যাটিংয়ের সময়) সাথে যদি ব্যাটসম্যান থাকে তবে শট খেলা যায়। আবার টেল এন্ডারদের নিয়ে খেলতে হলে অন্যভাবে খেলতে হয়। সব মিলিয়ে জায়াগটা খুব কঠিন। তবে যেখানে সুযোগ পাই, সেখানেই ভালো খেলতে হবে। সেটাই আমার লক্ষ্য।”