পচেফস্ট্রুমে রোববার ২০৫ রানের লক্ষ্যে দুই উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড। আগামী বুধবার ডারবানের ম্যাচটি তাই সিরিজ নির্ধারক হয়ে উঠেছে।
নিউ জিল্যান্ডের ৩৩ বল বাকি থাকতে পাওয়া জয়ে সর্বোচ্চ অবদান রাখেন গাপটিল। ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৩ রানের ঝকঝকে শতক উপহার দিয়ে অপরাজিত থাকেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে শতক তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরাও হন তিনি।
উদ্বোধনী জুটিতে টম ল্যাথামকে সঙ্গে নিয়ে ১২৬ রান তুলে জয়ের পথটা অনেকটাই সহজ করে দেন গাপটিল। ইমরান তাহিরের বলে ল্যাথাম (৬৪) রাইলি রুশোকে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি।
অল্প সময়ের ব্যবধানে অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে (৭ রান) হারালেও নিউ জিল্যান্ডকে বিপদে পড়তে দেননি গাপটিল। জর্জ ওয়ার্কারকে (২০*) সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল।
ডগ ব্রেসওয়েল ও অ্যাডাম মিল্নেরা স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার সুযোগই দেননি। ব্রেসওয়েল ৩টি ও মিল্নে ২টি উইকেট নেন।
অতিথি বোলারদের তোপের মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহে সর্বোচ্চ অবদান রাখেন ফারহান বেহারদিয়েন। ব্রেসওয়েলের বলে উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৭০ রান করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
২০ রানের মধ্যে হাশিম আমলা ও মরনে ফন উইককে হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৮ রান তুলে শুরুর ধাক্কা সামলায়। কিন্তু রাইলি রুশো ও ডেভিড মিলারের দ্রুত বিদায়ে ফের বিপদে পড়ে তারা।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে একমাত্র অর্ধশতক করা বেহারদিয়েন কিউই বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়েন; তাকে ভালো সঙ্গ দেন ৩০ রানে অপরাজিত থাকা পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার।