হারারে স্পোর্টস ক্লাবে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রস টেইলরের শতকের সাহায্যে ৪ উইকেটে ৩০৩ রান করে গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ড। তবে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটে দুর্দান্ত শুরুর পর আরভিনের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৬ বল বাকি থাকতে বড় ব্যবধানেই জেতে জিম্বাবুয়ে।
মাসাকাদজা ও চামু চিবাবার ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সূচনা পায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মাসাকাদজার সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়েন আরভিন।
৯৯ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৪ রান করে আউট হন মাসাকাদজা। সঙ্গীর বিদায়ের পর মূলত একাই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ক্যারিয়ারে প্রথম ওয়ানডে শতক করা আরভিন।
অপরাজিত ১৩০ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন আরভিন। ১০৮ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ৩টি উইকেটই পান অফস্পিনার নাথান ম্যাককালাম।
এর আগে ৩৯ রানে দুই ব্যাটসম্যানকে হারালেও তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় নিউ জিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন টেইলর।
টিনাসে পানিয়াঙ্গারার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৯৭ রান করেন উইলিয়ামসন। তার ১০২ বলের ইনিংসটি ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।
সাবেক অধিনায়ক টেইলর ১১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ১২২ বলের ইনিংসটি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো।
৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের সফলতম বোলার পানিয়াঙ্গারা।
এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।
ওয়ানডেতে এর আগে একবারই তিনশর বেশি রান তাড়া করে জেতার অভিজ্ঞতা ছিল জিম্বাবুয়ের। সেটাও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১১ সালে বুলাওয়েতে। সেই ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের করা ৩২৮ রান ১ উইকেট হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।