২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে হয়ে আসছে ডাইভারসিটি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এবার টুর্নামেন্টের দশম আসরে খেলছে দশটি দল। ‘বাংলাদেশ টাইগার্স’ নামে খেলছে বাংলাদেশের একটি দলও। যে দলে একসঙ্গে খেলছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ মোহাম্মদ আশরাফুল ও বিসিবির চুক্তিবদ্ধ দুই ক্রিকেটার ইলিয়াস সানি ও নাদিফ চৌধুরি। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির যে চুক্তি, সেখানে আছেন এই দুই ক্রিকেটার।
২০১২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরেও ঘরোয়া ক্রিকেটের শতাধিক ক্রিকেটারকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চুক্তির আওতায় নিয়ে আসে বিসিবি। তাদের বিভিন্ন অঙ্কের মাসিক সম্মানী দেওয়া হয়।
নিষিদ্ধ একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের খেলার ঘটনা যথেষ্টই আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট আঙিনায়। কিছুদিন আগে ঢাকাতেই মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ’ নামে একটি টুর্নামেন্টে আশরাফুলের সঙ্গে খেলেছিলেন জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার। টুর্নামেন্টের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত ছিলেন বিসিবি কর্তাদের কয়েক জনও!
বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন তারা।
নিষিদ্ধ আশরাফুল এই টুর্নামেন্ট খেলতে পারেন কিনা, সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। নিষিদ্ধ করার সময় বলা হয়েছিল, বিশ্বজুড়ে কোনো ধরনের ‘অফিসিয়াল’ টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না আশরাফুল। বিসিবি প্রধান নির্বাহীর দাবি, এই ডাইভারসিটি কাপ কোনো অফিসিয়াল টুর্নামেন্ট নয়।
“আশরাফুলকে নিষিদ্ধ করা ছিল বিসিবির এখতিয়ারে। কিন্তু যে টুর্নামেন্টের কথা বলা হচ্ছে, এটি বিসিবির আওতায় নয়। এটি অনুমোদিত টুর্নামেন্ট কি না, সেটা নিয়ে আমরা এখনই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে এটুকু বলছি, এটি অফিসিয়াল টুর্নামেন্ট নয়।”
উল্লেখ্য, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রেই একটি অনুমোদিত প্রদর্শনী ম্যাচে নিষিদ্ধ দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে খেলেছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ, নাসির জামশেদ, ফাওয়াদ আলম, আব্দুল রাজ্জাক ও শাহজাইব হাসান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পরে সবাইকে ৫ লাখ রুপি করে জরিমানা করেছিল। নিষিদ্ধ হওয়ার পর ২০১১ সালে সারেতে একটি ‘ভিলেজ’ ক্রিকেটে খেলেছিলেন মোহাম্মদ আমির। তাতেই তুমুল আলোড়ন হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর হুমকিও দিয়েছিল আইসিসি, আমির ক্ষমা চেয়ে পার পান।
বিপিএলে ফিক্সিংয়ে জড়িত খাকার অভিযোগে তিন বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ আট বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় আশরাফুলকে। পরে আশরাফুলের আপিলের পর সেটা কমিয়ে দুই বছরের স্থগিতসহ পাঁচ বছর করা হয়।