বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ। সেবার তামিম ইকবালের ক্যাচ ছেড়ে ডিন এলগার হতাশ করেন বোলার ডেল স্টেইনকে। তবে তার পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে হাশিম আমলাকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম।
তামিমের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মুমিনুল। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে ভালো অবস্থানের দিকে নিয়ে যান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বিপজ্জনক হয়ে উঠা দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন জেপি দুমিনি। নিজের আউটকে খুব বাজে বলে বর্ণনা করেন প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুল।
“ওদের বোলারদের মধ্যে শুধু পেসাররাই ভালো বোলিং করেছে। (জেপি) দুমিনি হয়তো একটা উইকেট ভালো পেয়েছে। আমার উইকেটটা খুব বাজে ছিল, লিটনের (দাস) উইকেটটাও ভালো বলে ছিল না। আমার মনে হয়, আমরা ওদের উইকেট দিয়ে এসেছি।”
খেলার মতো ছিল না এমন একটি বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হন মুমিনুল।
প্রথম টেস্টে অর্ধশতক করা লিটন উইকেট এক রকম উপহারই দেন দুমিনিকে। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নিজের তৃতীয় টেস্টে খেলা লিটন।
শেষ দুই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেনের জন্য নাসির হোসেনকে সঙ্গ দেওয়া কঠিনই হবে। মোহাম্মদ শহীদের সামর্থ্য ছিল শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু শহীদ দিনের একদম শেষ সময়ে ডেল স্টেইনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন।
বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচ জনই উইকেটে থিতু হন। মুমিনুল জানান, তারপরও পুরোটা সময় তাদের রানের জন্য লড়াই করতে হয়।
“ওরা স্কোর করার জন্য বল খুব কম দেয়। সব সময় স্টাম্প টু স্টাম্প বল করে। বিশ্বের অন্যতম সেরা তিন পেসার আছে ওদের দলে। আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব কষ্ট হয়েছে রান করতে।”